Hemorif® হঠাৎ পাইলস বা অর্শ্ব বা হেমোরয়েড রোগ, দীর্ঘকাল ব্যাপী হেমোরয়েড রোগ, পায়ের শিরার গাঠনিক ও কার্যকারিতার সমস্যা, পা ভারী মনে হওয়া, ব্যথা, রাত্রিকালীন সংকোচনজনিত ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণসমূহ দেখা যায়।

Hemorif^®

Diosmin + Hesperidine
Antihemorrhoidal (Alimentary Preparations)

Indication:
Acute hemorrhoidal attacks, Chronic hemorrhoidal disease, Organic and functional chronic venous insufficiency of the lower limbs with the following symptoms: heavy legs, pain, nocturnal cramps.

Dosage & Administration:
Acute hemorrhoidal attacks: 3 tablets twice daily for 4 days, then 2 tablets twice daily for three days and if required then 1 tablet twice daily.

Preparation:
Hemorif^® tablet : Box containing 30's tablets in blister pack

সাধারণ মানুষ মলদ্বার বা এর আশেপাশের যে কোন সমস্যাকেই পাইল্স বা অর্শ মনে করে থাকেন। কিন্তু বাস্তবে হেমোরয়েড বা পাইলস বা অর্শ্ব হচ্ছে মলদ্বার সম্পর্কিত বহুবিধ রোগের একটি যার নিজেরই বিভিন্ন ধরন ও পর্যায় আছে এবং ধরন ও পর্যায়ভেদে এর চিকিৎসা ভিন্নরকম হয়ে থাকে। প্রতিটি সুস্থ্য মানুষের মলদ্বারের অভ্যন্তরে এর আবরণীর (মিউকাস মেমব্রেন অথবা চামড়া) নীচে বিভিন্ন ধরণের রক্তনালী ও যোজক কলার (কানেকটিভ টিস্যু) সমন্বয়ে গঠিত কয়েকটি কুশন থাকে যেগুলি পরস্পরের সাথে ঘনিষ্টভাবে সংলগ্ন থেকে মলদ্বারের মধ্য দিয়ে মল ও বায়ুর নির্গমনকে নিয়ন্ত্রণ করে। নানাবিধ কারণে এই কুশনসমূহ স্ফীত হতে পারে বা ফুলে ঊঠতে পারে এবং এদের ন্থানচ্যুতি হতে পারে। এই স্ফীত ও স্থানচ্যুত রক্তনালীর কুশনগুলিই পাইলস বা অর্শ। পাইলস সাধারনত দুই রকমের হয়ে থাকে। ১)    ইন্টারনাল বা অভ্যন্তরীণ ২)    এক্সটারনাল বা বর্হিঃস্থ / বাহ্যিক ।তবে কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে উভয় ধরনের পাইল্সই একসাথে পাওয়া যেতে পারে ।

বাহ্যিক পাইলসঃ মলদ্বারের পার্শ্বে সামান্য স্ফীতি বা ফোলা দেখা যায়, সাধারনত ব্যথাহীন তবে ভিতরে রক্ত জমাট বেধে গেলে তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে। আশপাশের চামড়ায় এবং মলদ্বারে চুলকানী হয়।
 
অভ্যন্তরীন পাইলসঃ পায়ুপথে উজ্জ্বল লাল বর্ণের ব্যথাহীন রক্তপাতই এই ধরনের পাইল্স এর মূল লক্ষণ। মলত্যাগের সময় বা পরপরই কখনও একসাথে কখনও ফিনকি দিয়ে এই রক্তপাত হয়ে থাকে যা রোগীর মধ্যে তীব্র ভীতির সঞ্চার করে। অন্যান্য লক্ষণসমূহ হচ্ছে মলদ্বার পিচ্ছিল ও ভিজে থাকা, চুলকানী, স্থানচ্যুত পাইল্সসমূহ মলদ্বারের বাহিরে চলে আসে যা পর্যায়ভেদে আপনাতেই ভিতরে চলে যায় বা আঙ্গুল দিয়ে ভিতরে ঠেলে দিতে হয় বা স্থায়ীভাবে বাইরেই অবস্থান করে। স্থানচ্যুত পাইলসসমূহের ভিতরে রক্ত জমাট বেধে গেলে বা ইনফেকশন হলে বা পচন ধরে গেলেই কেবলমাত্র এই ধরনের পাইলস-এ ব্যথা হয়ে থাকে।