মুরগির ঠান্ডা লাগা রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
মুরগির মাইকোপ্লাজমা/ঠান্ডাজনিত রোগ
মুরগির ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্খেযোগ্য লক্ষণ হলো, পূর্ণবয়স্ক মুরগির ট্রাকিয়ায় গরগর শব্দ (Tracheal rales ) হবে, নাক দিয়ে শ্লেশ্মা নিঃস্বরণ ও তীব্র কাশি থাকবে। খাদ্য গ্রহণে অনীহা ও দৈহিক ওজন হ্রাস পাবে। ডিম পাড়া মুরগির ডিম পাড়া কমে যাবে।ব্রয়লার মুরগির ক্ষেত্রে: অধিকাংশ ব্রয়লার ফ্লকে সাধারণত ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ বয়সের মধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।
টার্কি ও পোলট্রি সেক্টরে মাইকোপ্লাজমা গ্যালিসেপ্টিকাম নামক জীবাণুর খারাপ প্রভাব: মাইকোপ্লাজমা গ্যালিসেপ্টিকাম মুরগিকে আক্রান্ত করলে ‘ক্রোনিক রেসপিরেটরি ডিজিজ ‘( Chronic Respiratory Diseases
or CRD) এবং টার্কিকে আক্রান্ত করলে ‘ইনফেকশাস সাইনুসাইটিস’
(Infectious sinusitis) নামে অভিহিত করা হয়।
এ রোগের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো: শ্বাস নেওয়ার সময় গলায় গরগর শব্দ (Respiratory rales), কাশি, নাক দিয়ে শ্লেশ্মা নিঃস্বরণ এবং টার্কির প্রায়শই সাইনুসাইটিস
(frequently sinusitis) আক্রান্ত হওয়া।
মাইকোপ্লাজমা গ্যালিসেপ্টিকাম জীবাণুর সাথে কিছু ভাইরাস বিশেষ করে নিউক্যাসল ডিজিজ ভাইরাস (NDV), ইনফেকশাস ব্রংকাইটিস ভাইরাস (Infectious bronchitis virus) ও এসকারেসিয়া কোলি একত্রে সংক্রামিত হলে খুবই জটিল (Very complicated) আকার ধারণ করে।
আক্রান্ত ও
মৃত্যুর হার: মাইকোপ্লাজমা গ্যালিসেপ্টিকাম সংক্রমণ সাধারণত শীতকালীন সময়ে বেশি দেখা দেয়। এছাড়াও খামারের টার্কি ও মুরগি ধকলে আক্রান্ত হলে যে কোন সময় এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা: এ রোগের চিকিৎসায় টার্কির ক্ষেত্রে টিয়ামুলিন (Tiamulin) ভালো কাজ করে। মুরগির ক্ষেত্রে টিয়ামুলিন
(tiamulin), টাইলোসিন
(Tylosin) ও ক্লোরটেট্রাসাইক্লিন (সিটিসি) ভালো কাজ করে।
তবে খাদ্যে যদি আয়োনোফোর জাতীয় কক্সিডিওস্ট্যাট মেশানো থাকে সেক্ষেত্রে কোন অবস্থাতেই টিয়ামুলিন ব্যবহার করা যাবে না। উল্লেখ্য, খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ তাদের উৎপাদিত খাদ্যের প্যাকেটে নির্দেশনা দিয়ে থাকেন যে টিয়ামুলিন ব্যবহার করা যাবে কিনা।
বিশেষ সতর্কতা : যে কোন ঔষধ রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করুন।
No comments