মৃগী রোগ হলে

মৃগীরোগ হলে
☆☆☆ এনলেপটিক ®- Anleptic®


শেয়ার করুন
⍟⍟ উপাদান :

কার্বামাজেপিন বিপি। ২০০ মি.গ্রা. ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেট, ২০০ মি.গ্রা. সিআর ট্যাবলেট এবং ১০০ মি.গ্রা./৫ মি.লি. সাসপেনশন।

⍟⍟ নির্দেশনা :

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে এনলেপটিক® (কার্বামাজেপিন) নির্দেশিত পার্শিয়াল এবং সেকেন্ডারী জেনারাইলজড টনিক ক্লনিক সিজার (মৃগীরোগ)। প্রাইমারী জেনারাইলজড টনিক ক্লনিক সিজার। ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া। বাইপলার ডিজঅর্ডার প্রতিরোধ।

⍟⍟ মাত্রা ও ব্যবহারবিধি :-
ইপিলেপসি : প্রারম্ভিক- ২০০ মি.গ্রা. দিনে ২ বার ট্যাবলেট অথবা সিআর ট্যাবলেট অথবা ১ চা চামচ দিনে ৪ বার (দৈনিক ৪০০ মি.গ্রা.)। কাঙ্খিত ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত সপ্তাহন্তে প্রতিদিন ২০০ মি.গ্রা. করে দৈনিক ২ বার অথবা ৪ বার করে সেবন বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

১২ - ১৫ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে: সেবন মাত্রা দৈনিক ১০০০ মি.গ্রা. এর বেশি বৃদ্ধি করা উচিত নয় এবং ১৫ বছরের উর্দ্ধে এ সেবন মাত্রা ১২০০ মি.গ্রা. বেশি বৃদ্ধি করা উচিত নয়।

প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে এ সেবন মাত্রা ১৬০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত হতে পারে।

অব্যাহত মাত্রা- সাধারণত দৈনিক ৮০০-১২০০ মি.গ্রা.।


৬ - ১২ বছর শিশুদের ক্ষেত্রে : প্রারম্ভিক- ১০০ মি.গ্রা. দিনে ২ বার ট্যাবলেট অথবা সিআর ট্যাবলেট অথবা ১-২ চা চামচ দিনে ৪ বার (দৈনিক ২০০ মি.গ্রা.)।

কাঙ্খিত ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত সপ্তাহন্তে প্রতিদিন ১০০ মি.গ্রা. করে দৈনিক ২ বার অথবা ৪ বার করে সেবন বৃদ্ধি করা যেতে পারে। সেবন মাত্রা দৈনিক ১০০০ মি.গ্রা. এর বেশি বৃদ্ধি করা উচিত নয়।

অব্যাহত মাত্রা - সাধারণত দৈনিক ৪০০-৮০০ মি.গ্রা. ।

৬ বছরের নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে : প্রতি কেজিতে ১০-২০ মি.গ্রা. হারে ট্যাবলেট অথবা সিআর ট্যাবলেট দিনে ২বার অথবা ৩ বার অথবা সাসপেনশন দিনে ৪ বার। কাঙ্খিত ক্রিয়া না পাওয়া পর্যন্ত সপ্তাহন্তে সেবন বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

অব্যাহত মাত্রা - সাধারণত দৈনিক প্রতি কেজিতে ৩৫ মি.গ্রা. এর নিচের মাত্রাতে কাঙ্খিত ক্রিয়া পাওয়া যায়। যদি কাঙ্খিত ক্রিয়া লক্ষিত না হয় তাহলে প্লাজমা মাত্রা পরিমাপ করে দেখতে হবে যে তা থেরাপিউটিক মাত্রার ভেতর রয়েছে কিনা। প্রতিদিন প্রতি কেজিতে ৩৫ মি.গ্রা. এর বেশি সেবনের ক্ষেত্রে কার্বামাজেপিন এর নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত নয়।

⍟⍟ যৌথ চিকিৎসা :

কার্বামাজেপিন একাকি অথবা অন্য খিঁচুনী প্রতিরোধক এর সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে। যখন অন্য খিঁচুনী প্রতিরোধক এর সাথে ব্যবহার করা হয় তখন কার্বামাজেপিন এর সেবন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করা যেতে পারে এবং অন্য ওষুধের সেবন ধীরে ধীরে হ্রাস করতে হবে। শুধুমাত্র ফিনাইটয়েন এর সেবন বৃদ্ধি করতে হবে।

⍟⍟ ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া :

প্রারম্ভিক- প্রথম দিন ১০০ মি.গ্রা. দিনে ২ বার ট্যাবলেট অথবা সিআর ট্যাবলেট অথবা ১-২ চা চামচ দিনে ৪ বার সাসপেনশন হিসেবে দৈনিক সর্বমোট ২০০ মি.গ্রা.।

ট্যাবলেট অথবা সিআর ট্যাবলেট এর ক্ষেত্রে প্রতি ১২ ঘন্টায় ১০০ মি.গ্রা. করে অথবা সাসপেনশনের ক্ষেত্রে প্রতি ১২ ঘন্টায় ৫০ মি.গ্রা. সেবন বৃদ্ধি করা যেতে পারে। দৈনিক ১২০০ মি.গ্রা. এর বেশি সেবন বৃদ্ধি করা উচিত নয়।

অব্যাহত মাত্রা - সাধারণত দৈনিক ৪০০-৮০০ মি.গ্রা. হারে সেবন করলেই ব্যথা থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। কিছু কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে এ মাত্রা ২০০ মি.গ্রা. এবং কারো কারো ক্ষেত্রে ১২০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত হতে পারে। প্রতি ৩ মাসে এক বার সেবন হ্রাস করার চেষ্টা করা উচিত অথবা সেবন বন্ধ করা উচিত। কার্বামাজেপিন সেবনের সাথে খাবার গ্রহণের কোন সম্পর্ক নেই।

⍟⍟ সতর্কতা ও যে সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে কার্বামাজেপিন ব্যবহার করা যাবে না কার্বামাজেপিন অথবা এর কোন উপাদানের প্রতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে

এট্রিও ভেনট্রিকুলার ব্লক বোনমেরু ডিপ্রেশন পোরফাইরিয়াস ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট। যারা বিগত ১৪ দিনের মধ্যে কোন মনোএমাইনো অক্সিডেজ এন্টিডিপ্রেসেন্ট গ্রহণ করেছে

⍟⍟ সাবধানতা :

কার্বামাজেপিন ঝিঁমুনি এবং ঘুম ঘুম ভাব তৈরী করতে পারে। তাই গাড়ী অথবা মেশিন চালানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নেয়া উচিত। এলার্জি দেখা দিতে পারে। যদি কোন র‌্যাশ, চুলাকানি অথবা অন্য কোন অনাকাঙ্খিত প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তখন সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

কদাচিৎ ক্ষেত্রে যকৃতে অসুবিধা দেখা দিতে পারে। যদি চুলকানি, চামড়ায় হলদেটে ভাব অথবা ভিন্ন রকম গাঢ় মূত্র, বমি, পেটে ব্যথা,ক্ষুধামন্দা অথবা ফ্লু এর লক্ষণ দেখা যায় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। কার্বামাজেপিন ইস্ট্রোজেন, প্রজেস্ট্রেরন ইত্যাদি হরমোনাল কন্ট্রাসেপটিভ এর রক্তের মাত্রা হ্রাস করে। ফলে জন্ম বিরতি করণ ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস পেতে পারে।

যেসব মহিলারা জন্ম বিরতিকরণ ওষুধ সেবন করছেন তাদের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ মি.গ্রা. ইস্ট্রোজেন মাত্রার জন্ম বিরতি করণ ট্যাবলেট অথবা কনডম ব্যবহার করা উচিত। কার্বামাজেপিন এর সেবন হঠাৎ বন্ধ করা উচিত নয়। যদি সেবন হ্রাস প্রয়োজন হয় তবে ধীরে ধীরে একজন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে সেবন হ্রাস করা উচিত।

⍟⍟ সতর্কতা :

মিশ্র সিজার এবং এবসেন্স সিজার, বয়স্ক লোক, হার্ট, লিভার, কিডনী এবং মানসিক অসুস্থতা, গ্লুকোমা, অন্য ওষুধের দ্বারা সৃষ্ট রক্তের সমস্যা, পূর্বে কার্বামাজেপিন এর চিকিৎসা বন্ধ করা হয়েছে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং এলার্জির কারণে, এ সকল ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নিতে হবে।

⍟⍟ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :

ঝিঁমুনি, ঘুম ঘুম ভাব, শুষ্ক মুখ, এটাকশিয়া, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব,ক্ষুধামন্দা, লিউকোপেনিয়া, প্রোটিন ইউরিয়া, ব্রাডিকার্ডিয়া, হাইপোটেনশন এবং হার্টফেইলর। ইরাইথোমেটাস স্কিন র‌্যাশ অথবা এ্যাপ্লাসটিক এনিমিয়া ও কদাচিত পরিলক্ষিত হয়।

অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া : কার্বামাজেপিন সেবনের প্রথম ২ মাসের মধ্যে জন্মবিরতিকরণ ওষুধ নিচ্ছেন এমন মহিলাদের ক্ষেত্রে গ্যালাকটোরিয়া দেখা দিতে পারে। ফিনাইটয়েন কার্বামাজেপিন এর মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। তাই সেবন মাত্রা বৃদ্ধি করতে হবে।

⍟⍟ গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :

প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি-ডি। কার্বামাজেপিন এবং এর ইপোক্সাইড মেটাবোলাইট মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়। সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়ারোধে মাতৃদুগ্ধ সেবন অথবা ওষুধ সেবন বন্ধ করতে হবে।

⍟⍟ সরবরাহ :

এনলেপটিক® ২০০ মি.গ্রা.: প্রতিটি বাক্সে আছে ৩০ টি ট্যাবলেট।

এনলেপটিক® ২০০ মি.গ্রা. সিআর: প্রতিটি বাক্সে আছে ৩০ টি ট্যাবলেট।

এনলেপটিক® ১০০ মি.লি. সাসপেনশন: প্রতি বোতলে আছে ১০০ মি.লি. সাসপেনশন।

No comments

ফাউল পক্স Fowlpox রোগের চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রন

ফাউল পক্স প্রজাতি হাঁস , মুরগি , কবুতর , টার্কি রোগের কারন ফাউল পক্স ভাইরাস রোগের লক্ষণ • ঝুঁটি , গলকম্ব , পা ও পায়ের আঙ্গুলে আঁচিল...

Powered by Blogger.