ফ্যাক্টিসিনTM FacticinTM ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের চিকিৎসায় নির্দেশিত
উপাদান: ফ্যাক্টিসিন ট্যাবলেট: প্রতিটি ফিল্ম কোটেড
ট্যাবলেটে আছে জেমিফ্লক্সাসিন ৩২০ মি.গ্রা.,
জেমিফ্লক্সাসিন মিসাইলেট আইএনএন হিসেবে।
নির্দেশনা: জেমিফ্লক্সাসিন প্রাপ্ত বয়ষ্কদের নিমেড়বাক্ত
ব্যাকটেরিয়াজনিত সংμমণের চিকিৎসায় নির্দেশিত -
শ্বাসতন্ত্রের সংμমণকমিউনিটি
অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া- যা স্ট্রেপটোকক্কাস
নিউমোনি, ক্লামাইডিয়া নিউমোনি, মাইকোপ−
াজমা
নিউমোনি, হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, মোরাক্সিলা
ক্যাটারলিস, লেজিওনেলা নিউমোফিলা দ্বারা ঘটে।
দীর্ঘদিনের ব্রংকাইটিসের হঠাৎ বৃদ্ধি- হিমোফিলাস
ইনফ্লুয়েঞ্জা, মোরাক্সিলা ক্যাটারলিস, স্ট্রেপটোকক্কাস
নিউমোনি দ্বারা ঘটে।
তীব্র ব্যাকটেরিয়াল সাইনুসাইটিস- যা স্ট্রেপটোকক্কাস
নিউমোনি, হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, মোরক্সিলা
ক্যাটারলিস, স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস দ্বারা ঘটে।
মূত্রতন্ত্রের সংμমণ
তীব্র অজটিল বৃক্কের প্রদাহ- যা ইসচেরিসিয়া কোলাই,
ক্লেবসিয়েলা নিউমোনি দ্বারা সংঘটিত হয়।
মহিলাদের অজটিল মূত্রনালীর সংμমণ- যা
ইসচেরিসিয়া কোলাই, কেবসিয়েলা নিউমোনি দ্বারা
সংঘটিত হয়।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি: ফ্যাক্টিসিন আহারের পূর্বে বা পরে
খাওয়া যেতে পারে এবং খাওয়ার পর প্রচুর পরিমানে
পানি পান করতে হবে। ফ্যাক্টিসিন-এর নির্ধারিত মাত্রা
হল- দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা. যা নিচে দেয়া হল
নির্দেশনা মাত্রা সময়কাল
দীর্ঘদিনের ব্রংকাইটিসের হঠাৎ বৃদ্ধি দৈনিক ৩২০
মি.গ্রা. ট্যাবলেট ৫ দিন
তীব্র ব্যাকটেরিয়াল সাইনুসাইটিস দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা.
ট্যাবলেট ৫ দিন
কমিউনিটি অ্যাকুয়ার্ড নিউমোনিয়া দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা.
ট্যাবলেট ৭ দিন
মহিলাদের অজটিল মূত্রনালীর সংμমণ দৈনিক ৩২০
মি.গ্রা. ট্যাবলেট ৩ দিন
তীব্র অজটিল বৃক্কের প্রদাহ দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা.
ট্যাবলেট ১০ দিন
মারাত্মক নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসার ১৪ দিন
পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে।
বৃক্ক জটিলতার রোগীদের ক্ষেত্রে: মৃদু থেকে মধ্যম বৃক্ক
জটিলতার রোগীদের ক্ষেত্রে মাত্রা পূনঃনির্ধারন করার
প্রয়োজন নেই। মারাত্মক বৃক্ক অকার্যকর রোগীদের
ক্ষেত্রে মাত্রার কিছু পরিবর্তন করা যায়/নির্দেশনা
আছে। যদি μিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স > ৪০ মি.লি./
মিনিট হয় তাহলে সাধারণ মাত্রাই যথেষ্ট। μিয়েটিনিন
ক্লিয়ারেন্স যদি < ৪০ মি.লি./মিনিট হয় তাহলে
দৈনিক ১৬০ মি.গ্রা. করে দিতে হবে। যে সমস্ত রোগী
হিমোডায়ালাইসিস অথবা নিয়মিত পেরিটোনিয়াল
ডায়ালাইসিস করিয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে দৈনিক
১৬০ মি.গ্রা. করে দিতে হবে।
যকৃতের জটিলতার রোগীদের ক্ষেত্রে: যকৃতের
জটিলতার রোগীদের ক্ষেত্রে মাত্রা পূনঃনির্ধারণ না
করেই ওষুধটি দেয়া যেতে পারে।
বয়ষ্ক রোগীদের ক্ষেত্রে: মাত্রা পূনঃনির্ধারনের দরকার
নেই।
পার্শ্ব পঙতিμিয়া: সাধারণ পার্শ্বপঙতিμিয়ার মধ্যে রয়েছে
পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি
এবং ফুঁসকুড়ি। কিছু বিরল পার্শ্ব পঙতিμিয়ার মধ্যে
৮৫
রয়েছে ছত্রাকের মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি, মাথা ঘোরা, অনিদ্রা,
চুলকানি এবং ম্যাকুলোপ্যাপুলার ইরাইদেমেটোস স্কিন
র্যাশ। জেমিফ্লক্সাসিন ব্যবহারে যদি ফুঁসকুড়ি দেখা
দেয় তাহলে চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে হবে।
বিশেষ সতর্কতা: যে সমস্ত রোগীদের মারাত্মক
বৃক্কের অকার্যকারিতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে দৈনিক
১৬০ মি.গ্রা. করে মাত্রা পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে।
অত্যাধিক মূত্র ঘনত্ব এবং কৃস্টালুরিয়া প্রতিরোধের
জন্য জেমিফ্লক্সাসিন দ্বারা চিকিৎসার সময় রোগীদের
পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করা উচিত। জেমিফ্লক্সাসিন
ঝিঁমুনি আনতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগীদের যানবাহন
বা যন্ত্রপাতি চালনা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং
মানসিকভাবে সচেতন থাকতে হয় এমন কাজ থেকে
দূরে থাকতে হবে।
No comments