গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায়
গ্যাস্টিকের সমস্যায়
☆☆☆ এন্টাসিড® - Entacyd®
⍟⍟ উপাদান :
এ্যালুমিনাম হাইড্রোক্সাইড ২৫০ মি.গ্রা. এবং ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ৪০০ মি.গ্রা.ট্যাবলেট। এ্যালুমিনাম হাইড্রোক্সাইড ১৭৫ মি.গ্রা. এবং ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ২২৫ মি.গ্রা./৫ মি.লি সাসপেনশন।
⍟⍟ নির্দেশনা :
অম্লাধিক্য (হাইপার এসিডিটি), পাকস্থলী বা অন্ত্রে ঘা (পেপটিক আলসার), পাকস্থলীর প্রদাহ (গ্যাস্ট্রাইটিস), বুক জ্বালা (হার্টবার্ন) এবং বদহজমে (ডিসপেপসিয়া) নির্দেশিত।
⍟⍟ মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :-
ট্যাবলেট : ১-২ টি ট্যাবলেট খাবার ১-৩ ঘণ্টা পরে এবং রাত্রে শোবার সময়।
সাসপেনশন : চা চামচের ১-২ চামচ খাবার ১-৩ ঘণ্টা পরে এবং শোবার সময়।
⍟⍟ সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না : যেসব রোগীদের হাইপোফসফেটেমিয়া আছে তাদের এটি দেয়া যাবে না।
⍟⍟ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে এলকালইউরিয়া এবং নেফ্রোলিথিয়াসিস হতে পারে।
⍟⍟ গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার : গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে এন্টাসিড® ব্যবহার না করার পরামর্শ দেয়া হয়।
⍟⍟ সরবরাহ :
এন্টাসিড® ট্যাবলেট : প্রতিটি বাক্সে আছে ২০০ টি চুষে খাওয়ার ট্যাবলেট।
এন্টাসিড® সাসপেনশন : প্রতিটি পেট বোতলে আছে ২০০ মি.লি. সাসপেনসন।
☆☆☆ এন্টাসিড® প্লাস - Entacyd® Plus
শেয়ার করুন
⍟⍟ উপাদান :
এ্যালুমিনিয়াম হাইডো্র ক্সাইড ৪২৫ মি.গ্রা., ম্যাগনেসিয়াম হাইডো্র ক্সাইড ৪০০ মি.গ্রা. ও সিমেথিকন ৩০ মি.গ্রা./ট্যাবলেট। এ্যালিু মনাম হাইডো্র ক্সাইড ২০০ মি.গ্রা., ম্যাগনেসিয়াম হাইডো্র ক্সাইড ৪০০ মি.গ্রা. ও সিমেথিকন ৩০ মি.গ্রা./৫ মি.লি. সাসপেনশন।
⍟⍟ নির্দেশনা : পাকস্থলী বা অন্ত্রেঘা, পাকস্থলীর প্রদাহ, পেপটিক ইসোফ্যাগাইটিস, অম্লাধিক্য, বুক জ্বালায় ব্যবহৃত হয়।
⍟⍟ মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
ট্যাবলেট: ২ টি ট্যাবলেট খাবার ১-৩ ঘণ্টা পরে এবং রাত্রে শোবার সময়।
সাসপেনশন: চা চামচের পূর্ণ দুই চামচ খাবার ১-৩ ঘণ্টা পরে এবং শোবার সময়।
⍟⍟ সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
যেসব রোগীদের হাইপোফসফেটেমিয়া আছে তাদেরকে এই ওষুধ দেয়া যাবে না।
⍟⍟ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।
⍟⍟ গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার : গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস এটি ব্যবহার না করার পরামর্শ দেয়া হয়।
⍟⍟ সরবরাহ :
এন্টাসিড® প্লাস ট্যাবলেট : প্রতিটি বাক্সে আছে ২০০ টি চুষে খাওয়ার ট্যাবলেট।
এন্টাসিড® প্লাস সাসপেনশন : প্রতিটি পেট বোতলে আছে ২০০ মি.লি. সাসপেনসন।
☆☆☆ ফ্লাকোল® - Flacol®
শেয়ার করুন
⍟⍟ উপাদান : সিমেথিকন ৬৭ মি.গ্রা./মি.লি.।
⍟⍟ নির্দেশনা :
পেট ফাঁপা, অন্ত্রের ফোলাভাব, পেট ভার, অতিরিক্ত গ্যাস এবং এর ফলে সৃষ্ট ব্যথা এবং বৃহদান্ত্রের জন্য প্রস্তুত মিশ্রণ হিসাবে নির্দেশিত।
⍟⍟ মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
শিশু : ২০-৪০ মি.গ্রা. (০.৩ মি.লি. থেকে ০.৬ মি.লি.) দিনে ৪ বার।
পূর্ণবয়স্ক : ৪০-১২৫ মি.গ্রা. (০.৬ - ১.৯ মি.লি.) দিনে ৪ বার।
⍟⍟ সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না : দৈনিক ১২ ডোজের অধিক দেওয়া যাবে না।
⍟⍟ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : কোন ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া নেই।
⍟⍟ সরবরাহ : ফ্লাকোল® পেডিয়াট্রিক ড্রপ্স্ : প্রতিটি বোতলে আছে ১৫ মি.লি. ড্রপ্স্ প্লাস্টিক ড্রপার সহ।
☆☆☆ সেকলো® - Seclo®
শেয়ার করুন
⍟⍟ উপাদান :
ওমিপ্রাজল বিপি। ২০ মি.গ্রা., ৪০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল। ২০ মি.গ্রা. ডিআর ট্যাবলেট এবং ৪০ মি.গ্রা./ ভায়াল ইঞ্জেকশন ।
⍟⍟ নির্দেশনা :
সেকলো® ক্যাপসুল এবং ট্যাবলেট গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ যেমন - রিফ্লাক্স ইসোফেগাইটিস, এসিড রিফ্লাক্স ডিজিজ, বিনাইন (মারাত্মক নয় এমন) গ্যাস্ট্রিক এবং ডিওডেনাল আলসার, হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি জনিত পেপটিক আলসার ডিজিজ, এসিড এসপিরেশন প্রতিরোধে, জোলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম এবং নন-স্টেরয়ডাল প্রদাহরোধী ওষুধ দ্বারা চিকিৎসার ফলে সৃষ্ট গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং ডিওডেনাল আলসার এর চিকিৎসায় নির্দেশিত। সেকলো® ৪০ আইভি ইঞ্জেকশন প্রধানতঃ জোলিঞ্জার- এলিসন সিনড্রোম এর চিকিৎসায় নির্দেশিত। তাছাড়া ইহা গ্যাস্ট্রিক আলসার, ডিওডেনাল আলসার এবং রিফ্লাক্স ইসোফেগাইটিস এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়।
⍟⍟ মাত্রা ও ব্যবহারবিধি : সেকলো® ক্যাপসুল এবং ট্যাবলেট: খাবারের পূর্বে গ্রহণ করা উচিত।
⍟⍟ নির্দেশনা মাত্রা ও প্রয়োগবিধি :
গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ স্বাভাবিক মাত্রায় ওমিপ্রাজল ২০ মি.গ্রা. দিনে ১ বার। অধিকাংশ রোগী ৪ সপ্তাহ পরে আরোগ্য লাভ করে। যেসব রোগীদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসায় পূর্নভাবে রোগ নিরাময় হয় না সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৪-৮ সপ্তাহ চিকিৎসায় রোগ নিরাময় হয়।
রিফ্লাক্স ইসোফেগাইটিস রোগীদের চিকিৎসায় অন্যান্য ওষুধ ব্যবহারে যেখানে পর্যাপ্ত সাফল্য পাওয়া যায়নি, সেক্ষেত্রে ওমিপ্রাজল দৈনিক ৪০ মি.গ্রা. মাত্রায় সেব্য। ৮ সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবে নিরাময় হয়। পরবর্তীতে দৈনিক ২০ মি.গ্রা. মাত্রায় সেবন করা যেতে পারে।
⍟⍟ এসিড রিফ্লাক্স ডিজিজ:
দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসায় ওমিপ্রাজল দৈনিক ১০ মি.গ্রা. মাত্রায় নির্দেশিত। লক্ষণসমূহ পূনরাবৃত্তি হলে দৈনিক ২০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। ডিওডেনাল এবং বিনাইন গ্যাস্ট্রিক আলসার ওমিপ্রাজল দৈনিক ২০ মি.গ্রা.। অধিকাংশ রোগী ৪ সপ্তাহ পরে আরোগ্য লাভ করে।
অধিকাংশ বিনাইন গ্যাস্ট্রিক আলাসারের রোগী ৮ সপ্তাহ পরে আরোগ্য লাভ করে। জটিল অথবা লক্ষণসমূহের পূনরায় আবির্ভাব হলে ওমিপ্রাজল দৈনিক ৪০ মি.গ্রা. মাত্রায় বৃদ্ধি করা যেতে পারে। আরোগ্য লাভের পরেও ডিওডেনাল আলসারের পূনরাবৃত্তি হয়েছে এরকম রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় ওমিপ্রাজল দৈনিক ২০ মি.গ্রা. মাত্রায় নির্দেশিত।
ডিডেনাল আলসারের পূনরাবৃত্তি প্রতিরোধে ওমিপ্রাজল দৈনিক ১০ মি.গ্রা. মাত্রায় নির্দেশিত। লক্ষণসমূহের পুনরাবৃত্তি হলে দৈনিক ২০ মি.গ্রা. মাত্রায় নির্দেশিত।
হেলিকোব্যাকটার পাইলোরিজনিত পেপটিক আলসার ওমিপ্রাজল দৈনিক ৪০ মি.গ্রা. অথবা ২০ মি.গ্রা. দিনে ২ বার এর সঙ্গে এমোক্সিসিলিন ১ গ্রাম ও ক্লারিথ্রোমাইসিন ৫০০ মি.গ্রা. ৭-১৪ দিন।
এসিড এসপিরেশন প্রতিরোধে এনেসথেসিয়া চলাকালে যেসব রোগীদের গ্যাস্ট্রিক উপাদানজনিত কারনে এসপিরেশন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সার্জারীর পূর্বের দিন সন্ধ্যায় ওমিপ্রাজল ৪০ মি.গ্রা. একক মাত্রায় সেব্য এবং সার্জারীর ২-৬ ঘন্টা পূর্বে ওমিপ্রাজল ৪০ মি.গ্রা. একক মাত্রায় নির্দেশিত।
জোলিঞ্জারএলিসন সিনড্রোম প্রাথমিকভাবে দিনে ৬০ মি.গ্রা. সেবনমাত্রায় শুরু করতে হবে। রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী সেবনমাত্রা নির্ণয় করতে হবে এবং ক্লিনিক্যাল লক্ষণসমূহ দুরীভূত না হওয়া পর্যন্ত সেবন করতে হবে। অত্যধিক জটিল এবং অন্যান্য চিকিৎসায় সাফল্য পাওয়া যায়নি এরকম ৯০% রোগীদের ক্ষেত্রে দিনে ২০-১২০ মি.গ্রা. মাত্রায় সাফল্যের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। ৮০ মি.গ্রা. এর উপরে সেবনের ক্ষেত্রে দুটি বিভক্ত মাত্রায় সেবন করা উচিত।
নন-স্টেরয়ডাল প্রদাহরোধী ওষুধজনিত গ্যাস্ট্রিক আলসার ও ডিওডেনাল আলসার ওমিপ্রাজল দিনে ২০ মি.গ্রা. একক মাত্রায় নির্দেশিত। লক্ষণসমূহ দ্রুত দুরীভূত হয় এবং অধিকাংশ রোগীদের ক্ষেত্রে ৪ সপ্তাহের মধ্যে আরোগ্য লাভ করে। প্রাথমিক চিকিৎসায় যাদের পূর্ন আরোগ্য লাভ হয়নি, অতিরিক্ত ৪ সপ্তাহ চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ হয়।
প্রতিরোধমূলক চিকিৎসায় এবং যেসব ক্ষেত্রে নন-স্টেরয়ডাল প্রদাহরোধী ওষুধ সেবন অপরিহার্য, ওমিপ্রাজল দিনে ২০ মি.গ্রা. একক মাত্রায় নির্দেশিত।
⍟⍟ শিশুদের ক্ষেত্রে:
গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিসিজ এবং অন্যান্য এসিডজনিত জটিলতায়
⍟⍟ বয়স-----ওজন-----মাত্রা:
১ বছর-১০-২০কেজি-দৈনিক ১০মি.গ্রা., প্রয়োজনে দৈনিক ২০ মি.গ্রা.
২ বছর- ২০কেজি-দৈনিক ২০ মি.গ্রা., প্রয়োজনে দৈনিক ৪০ মি.গ্রা.
⍟⍟ আইভি ইঞ্জেকশন:
ডিওডেনাল আলসার, গ্যাস্ট্রিক আলসার অথবা রিফ্লাক্স ইসোফ্যাগাইটিস:
ডিওডেনাল আলসার, গ্যাস্ট্রিক আলসার অথবা রিফ্লাক্স ইসোফ্যাগাইটিস এর রোগীদের মধ্যে যাদের জন্য মুখে সেবনীয় ওষুধ অপর্যাপ্ত তাদের জন্য ৪০ মি.গ্রা. আইভি দৈনিক একবার নির্দেশিত।
জোলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম:
জোলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম এর রোগীদের জন্য প্রাথমিকভাবে শিরাপথে দৈনিক ৬০ মি.গ্রা. ওমিপ্রাজল নির্দেশিত। উচ্চ মাত্রায় প্রয়োগ দরকার হতে পারে সেক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষে মাত্রা ঠিক করে নিতে হবে। দৈনিক মাত্রা ৬০ মি.গ্রা. এরবেশি হলে বিভক্ত মাত্রায় দৈনিক ২ বার প্রয়োগ করতে হবে।
⍟⍟ বৃক্কের অসমকার্যকারিতা: মাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন নেই।
⍟⍟ যকৃতের অসমকার্যকারিতা:
যেহেতু যকৃতের অসমকার্যকারিতার রোগীদের ক্ষেত্রে ওমিপ্রাজল এর প্লাজমা হাফ-লাইফ বেড়ে যায় তাই ১০-২০ মি.গ্রা. দৈনিক মাত্রা যথেষ্ট।
বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে: মাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন নেই।
শিশুদের ক্ষেত্রে: ওমিপ্রাজল আইভি ব্যবহারের পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।
⍟⍟ সতর্কতা ও যে সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
ওমিপ্রাজল ব্যবহারে কোন অনুপযোগিতা জানা নাই। যখন গ্যাস্ট্রিক আলসার ধারনা করা হয় তখন ওমিপ্রাজল দ্বারা চিকিৎসা শুরু করার পূর্বে ম্যালিগনেন্সি আছে কিনা পরীক্ষা করা উচিৎ কারণ ওমিপ্রাজল ম্যালিগনেন্সির লক্ষণসমূহ উপশম করতে পারে ফলে ম্যালিগনেন্সি নির্ণয়ে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। ওমিপ্রাজল দ্বারা লক্ষণসমূহ দূরীভুত হলেও ম্যালিগনেন্সির অনুপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবেনা।
⍟⍟ পার্শ্ব - প্রতিক্রিয়া :
ওমিপ্রাজল ভালভাবে সহনীয়। মৃদু এবং অস্থায়ী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, তলপেটে ব্যথা, অস্বস্থিবোধ, মাথা ঝিম্ ঝিম্ করা এবং মাথা ব্যথা। এসব ক্ষেত্রে সেবন মাত্রা কমানোর প্রয়োজন নেই।
⍟⍟ অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
ওমিপ্রাজল ব্যবহারের সময় ডায়াজিপাম, ফেনাইটয়েন এবং ওয়ারফারিন এর নিঃসরণ বিলম্বিত হয়। যখন ওমিপ্রাজল সেবনের প্রয়োজন হয় তখন ওয়ারফারিন এবং ফেনাইটয়েন এর মাত্রা কমাতে হতে পারে। থিউফাইলিন, প্রোপ্রানোলল অথবা এন্টাসিড এর সাথে ওমিপ্রাজল এর ইন্টারঅ্যাকশনের কোন প্রমাণ নাই।
⍟⍟ গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
তিনটি প্রসপেকটিভ এপিডেমিওলোজিক্যাল স্ট্যাডি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে যে, ওমিপ্রাজল ব্যবহারে কোন ধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অথবা ভ্রুণ / সদ্যজাত শিশু স্বাস্থ্যের উপর কোন প্রতিক্রিয়া নেই। সুতরাং ওমিপ্রাজল গর্ভাবস্থায় ব্যবহার নিরাপদ। ওমিপ্রাজল মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় কিন্তু পরিমিত মাত্রায় প্রয়োগে শিশুর উপর কোন প্রভাব ফেলে না।
⍟⍟ সরবরাহ :
সেকলো® ২০ ক্যাপসুল: প্রতিটি বাক্সে আছে ১০০ টি ক্যাপসুল।
সেকলো® ৪০ ক্যাপসুল: প্রতিটি বাক্সে আছে ৩০ টি ক্যাপসুল।
সেকলো® ডিআর ২০ ট্যাবলেট: প্রতিটি বাক্সে আছে ৬০ টি ট্যাবলেট।
☆☆☆ এন্টাসিড® - Entacyd®
⍟⍟ উপাদান :
এ্যালুমিনাম হাইড্রোক্সাইড ২৫০ মি.গ্রা. এবং ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ৪০০ মি.গ্রা.ট্যাবলেট। এ্যালুমিনাম হাইড্রোক্সাইড ১৭৫ মি.গ্রা. এবং ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ২২৫ মি.গ্রা./৫ মি.লি সাসপেনশন।
⍟⍟ নির্দেশনা :
অম্লাধিক্য (হাইপার এসিডিটি), পাকস্থলী বা অন্ত্রে ঘা (পেপটিক আলসার), পাকস্থলীর প্রদাহ (গ্যাস্ট্রাইটিস), বুক জ্বালা (হার্টবার্ন) এবং বদহজমে (ডিসপেপসিয়া) নির্দেশিত।
⍟⍟ মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :-
ট্যাবলেট : ১-২ টি ট্যাবলেট খাবার ১-৩ ঘণ্টা পরে এবং রাত্রে শোবার সময়।
সাসপেনশন : চা চামচের ১-২ চামচ খাবার ১-৩ ঘণ্টা পরে এবং শোবার সময়।
⍟⍟ সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না : যেসব রোগীদের হাইপোফসফেটেমিয়া আছে তাদের এটি দেয়া যাবে না।
⍟⍟ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে এলকালইউরিয়া এবং নেফ্রোলিথিয়াসিস হতে পারে।
⍟⍟ গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার : গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে এন্টাসিড® ব্যবহার না করার পরামর্শ দেয়া হয়।
⍟⍟ সরবরাহ :
এন্টাসিড® ট্যাবলেট : প্রতিটি বাক্সে আছে ২০০ টি চুষে খাওয়ার ট্যাবলেট।
এন্টাসিড® সাসপেনশন : প্রতিটি পেট বোতলে আছে ২০০ মি.লি. সাসপেনসন।
☆☆☆ এন্টাসিড® প্লাস - Entacyd® Plus
শেয়ার করুন
⍟⍟ উপাদান :
এ্যালুমিনিয়াম হাইডো্র ক্সাইড ৪২৫ মি.গ্রা., ম্যাগনেসিয়াম হাইডো্র ক্সাইড ৪০০ মি.গ্রা. ও সিমেথিকন ৩০ মি.গ্রা./ট্যাবলেট। এ্যালিু মনাম হাইডো্র ক্সাইড ২০০ মি.গ্রা., ম্যাগনেসিয়াম হাইডো্র ক্সাইড ৪০০ মি.গ্রা. ও সিমেথিকন ৩০ মি.গ্রা./৫ মি.লি. সাসপেনশন।
⍟⍟ নির্দেশনা : পাকস্থলী বা অন্ত্রেঘা, পাকস্থলীর প্রদাহ, পেপটিক ইসোফ্যাগাইটিস, অম্লাধিক্য, বুক জ্বালায় ব্যবহৃত হয়।
⍟⍟ মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
ট্যাবলেট: ২ টি ট্যাবলেট খাবার ১-৩ ঘণ্টা পরে এবং রাত্রে শোবার সময়।
সাসপেনশন: চা চামচের পূর্ণ দুই চামচ খাবার ১-৩ ঘণ্টা পরে এবং শোবার সময়।
⍟⍟ সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
যেসব রোগীদের হাইপোফসফেটেমিয়া আছে তাদেরকে এই ওষুধ দেয়া যাবে না।
⍟⍟ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।
⍟⍟ গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার : গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস এটি ব্যবহার না করার পরামর্শ দেয়া হয়।
⍟⍟ সরবরাহ :
এন্টাসিড® প্লাস ট্যাবলেট : প্রতিটি বাক্সে আছে ২০০ টি চুষে খাওয়ার ট্যাবলেট।
এন্টাসিড® প্লাস সাসপেনশন : প্রতিটি পেট বোতলে আছে ২০০ মি.লি. সাসপেনসন।
☆☆☆ ফ্লাকোল® - Flacol®
শেয়ার করুন
⍟⍟ উপাদান : সিমেথিকন ৬৭ মি.গ্রা./মি.লি.।
⍟⍟ নির্দেশনা :
পেট ফাঁপা, অন্ত্রের ফোলাভাব, পেট ভার, অতিরিক্ত গ্যাস এবং এর ফলে সৃষ্ট ব্যথা এবং বৃহদান্ত্রের জন্য প্রস্তুত মিশ্রণ হিসাবে নির্দেশিত।
⍟⍟ মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
শিশু : ২০-৪০ মি.গ্রা. (০.৩ মি.লি. থেকে ০.৬ মি.লি.) দিনে ৪ বার।
পূর্ণবয়স্ক : ৪০-১২৫ মি.গ্রা. (০.৬ - ১.৯ মি.লি.) দিনে ৪ বার।
⍟⍟ সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না : দৈনিক ১২ ডোজের অধিক দেওয়া যাবে না।
⍟⍟ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : কোন ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া নেই।
⍟⍟ সরবরাহ : ফ্লাকোল® পেডিয়াট্রিক ড্রপ্স্ : প্রতিটি বোতলে আছে ১৫ মি.লি. ড্রপ্স্ প্লাস্টিক ড্রপার সহ।
☆☆☆ সেকলো® - Seclo®
শেয়ার করুন
⍟⍟ উপাদান :
ওমিপ্রাজল বিপি। ২০ মি.গ্রা., ৪০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল। ২০ মি.গ্রা. ডিআর ট্যাবলেট এবং ৪০ মি.গ্রা./ ভায়াল ইঞ্জেকশন ।
⍟⍟ নির্দেশনা :
সেকলো® ক্যাপসুল এবং ট্যাবলেট গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ যেমন - রিফ্লাক্স ইসোফেগাইটিস, এসিড রিফ্লাক্স ডিজিজ, বিনাইন (মারাত্মক নয় এমন) গ্যাস্ট্রিক এবং ডিওডেনাল আলসার, হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি জনিত পেপটিক আলসার ডিজিজ, এসিড এসপিরেশন প্রতিরোধে, জোলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম এবং নন-স্টেরয়ডাল প্রদাহরোধী ওষুধ দ্বারা চিকিৎসার ফলে সৃষ্ট গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং ডিওডেনাল আলসার এর চিকিৎসায় নির্দেশিত। সেকলো® ৪০ আইভি ইঞ্জেকশন প্রধানতঃ জোলিঞ্জার- এলিসন সিনড্রোম এর চিকিৎসায় নির্দেশিত। তাছাড়া ইহা গ্যাস্ট্রিক আলসার, ডিওডেনাল আলসার এবং রিফ্লাক্স ইসোফেগাইটিস এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়।
⍟⍟ মাত্রা ও ব্যবহারবিধি : সেকলো® ক্যাপসুল এবং ট্যাবলেট: খাবারের পূর্বে গ্রহণ করা উচিত।
⍟⍟ নির্দেশনা মাত্রা ও প্রয়োগবিধি :
গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ স্বাভাবিক মাত্রায় ওমিপ্রাজল ২০ মি.গ্রা. দিনে ১ বার। অধিকাংশ রোগী ৪ সপ্তাহ পরে আরোগ্য লাভ করে। যেসব রোগীদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসায় পূর্নভাবে রোগ নিরাময় হয় না সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৪-৮ সপ্তাহ চিকিৎসায় রোগ নিরাময় হয়।
রিফ্লাক্স ইসোফেগাইটিস রোগীদের চিকিৎসায় অন্যান্য ওষুধ ব্যবহারে যেখানে পর্যাপ্ত সাফল্য পাওয়া যায়নি, সেক্ষেত্রে ওমিপ্রাজল দৈনিক ৪০ মি.গ্রা. মাত্রায় সেব্য। ৮ সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবে নিরাময় হয়। পরবর্তীতে দৈনিক ২০ মি.গ্রা. মাত্রায় সেবন করা যেতে পারে।
⍟⍟ এসিড রিফ্লাক্স ডিজিজ:
দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসায় ওমিপ্রাজল দৈনিক ১০ মি.গ্রা. মাত্রায় নির্দেশিত। লক্ষণসমূহ পূনরাবৃত্তি হলে দৈনিক ২০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। ডিওডেনাল এবং বিনাইন গ্যাস্ট্রিক আলসার ওমিপ্রাজল দৈনিক ২০ মি.গ্রা.। অধিকাংশ রোগী ৪ সপ্তাহ পরে আরোগ্য লাভ করে।
অধিকাংশ বিনাইন গ্যাস্ট্রিক আলাসারের রোগী ৮ সপ্তাহ পরে আরোগ্য লাভ করে। জটিল অথবা লক্ষণসমূহের পূনরায় আবির্ভাব হলে ওমিপ্রাজল দৈনিক ৪০ মি.গ্রা. মাত্রায় বৃদ্ধি করা যেতে পারে। আরোগ্য লাভের পরেও ডিওডেনাল আলসারের পূনরাবৃত্তি হয়েছে এরকম রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় ওমিপ্রাজল দৈনিক ২০ মি.গ্রা. মাত্রায় নির্দেশিত।
ডিডেনাল আলসারের পূনরাবৃত্তি প্রতিরোধে ওমিপ্রাজল দৈনিক ১০ মি.গ্রা. মাত্রায় নির্দেশিত। লক্ষণসমূহের পুনরাবৃত্তি হলে দৈনিক ২০ মি.গ্রা. মাত্রায় নির্দেশিত।
হেলিকোব্যাকটার পাইলোরিজনিত পেপটিক আলসার ওমিপ্রাজল দৈনিক ৪০ মি.গ্রা. অথবা ২০ মি.গ্রা. দিনে ২ বার এর সঙ্গে এমোক্সিসিলিন ১ গ্রাম ও ক্লারিথ্রোমাইসিন ৫০০ মি.গ্রা. ৭-১৪ দিন।
এসিড এসপিরেশন প্রতিরোধে এনেসথেসিয়া চলাকালে যেসব রোগীদের গ্যাস্ট্রিক উপাদানজনিত কারনে এসপিরেশন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে সার্জারীর পূর্বের দিন সন্ধ্যায় ওমিপ্রাজল ৪০ মি.গ্রা. একক মাত্রায় সেব্য এবং সার্জারীর ২-৬ ঘন্টা পূর্বে ওমিপ্রাজল ৪০ মি.গ্রা. একক মাত্রায় নির্দেশিত।
জোলিঞ্জারএলিসন সিনড্রোম প্রাথমিকভাবে দিনে ৬০ মি.গ্রা. সেবনমাত্রায় শুরু করতে হবে। রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী সেবনমাত্রা নির্ণয় করতে হবে এবং ক্লিনিক্যাল লক্ষণসমূহ দুরীভূত না হওয়া পর্যন্ত সেবন করতে হবে। অত্যধিক জটিল এবং অন্যান্য চিকিৎসায় সাফল্য পাওয়া যায়নি এরকম ৯০% রোগীদের ক্ষেত্রে দিনে ২০-১২০ মি.গ্রা. মাত্রায় সাফল্যের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। ৮০ মি.গ্রা. এর উপরে সেবনের ক্ষেত্রে দুটি বিভক্ত মাত্রায় সেবন করা উচিত।
নন-স্টেরয়ডাল প্রদাহরোধী ওষুধজনিত গ্যাস্ট্রিক আলসার ও ডিওডেনাল আলসার ওমিপ্রাজল দিনে ২০ মি.গ্রা. একক মাত্রায় নির্দেশিত। লক্ষণসমূহ দ্রুত দুরীভূত হয় এবং অধিকাংশ রোগীদের ক্ষেত্রে ৪ সপ্তাহের মধ্যে আরোগ্য লাভ করে। প্রাথমিক চিকিৎসায় যাদের পূর্ন আরোগ্য লাভ হয়নি, অতিরিক্ত ৪ সপ্তাহ চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ হয়।
প্রতিরোধমূলক চিকিৎসায় এবং যেসব ক্ষেত্রে নন-স্টেরয়ডাল প্রদাহরোধী ওষুধ সেবন অপরিহার্য, ওমিপ্রাজল দিনে ২০ মি.গ্রা. একক মাত্রায় নির্দেশিত।
⍟⍟ শিশুদের ক্ষেত্রে:
গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিসিজ এবং অন্যান্য এসিডজনিত জটিলতায়
⍟⍟ বয়স-----ওজন-----মাত্রা:
১ বছর-১০-২০কেজি-দৈনিক ১০মি.গ্রা., প্রয়োজনে দৈনিক ২০ মি.গ্রা.
২ বছর- ২০কেজি-দৈনিক ২০ মি.গ্রা., প্রয়োজনে দৈনিক ৪০ মি.গ্রা.
⍟⍟ আইভি ইঞ্জেকশন:
ডিওডেনাল আলসার, গ্যাস্ট্রিক আলসার অথবা রিফ্লাক্স ইসোফ্যাগাইটিস:
ডিওডেনাল আলসার, গ্যাস্ট্রিক আলসার অথবা রিফ্লাক্স ইসোফ্যাগাইটিস এর রোগীদের মধ্যে যাদের জন্য মুখে সেবনীয় ওষুধ অপর্যাপ্ত তাদের জন্য ৪০ মি.গ্রা. আইভি দৈনিক একবার নির্দেশিত।
জোলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম:
জোলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম এর রোগীদের জন্য প্রাথমিকভাবে শিরাপথে দৈনিক ৬০ মি.গ্রা. ওমিপ্রাজল নির্দেশিত। উচ্চ মাত্রায় প্রয়োগ দরকার হতে পারে সেক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষে মাত্রা ঠিক করে নিতে হবে। দৈনিক মাত্রা ৬০ মি.গ্রা. এরবেশি হলে বিভক্ত মাত্রায় দৈনিক ২ বার প্রয়োগ করতে হবে।
⍟⍟ বৃক্কের অসমকার্যকারিতা: মাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন নেই।
⍟⍟ যকৃতের অসমকার্যকারিতা:
যেহেতু যকৃতের অসমকার্যকারিতার রোগীদের ক্ষেত্রে ওমিপ্রাজল এর প্লাজমা হাফ-লাইফ বেড়ে যায় তাই ১০-২০ মি.গ্রা. দৈনিক মাত্রা যথেষ্ট।
বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে: মাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন নেই।
শিশুদের ক্ষেত্রে: ওমিপ্রাজল আইভি ব্যবহারের পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।
⍟⍟ সতর্কতা ও যে সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
ওমিপ্রাজল ব্যবহারে কোন অনুপযোগিতা জানা নাই। যখন গ্যাস্ট্রিক আলসার ধারনা করা হয় তখন ওমিপ্রাজল দ্বারা চিকিৎসা শুরু করার পূর্বে ম্যালিগনেন্সি আছে কিনা পরীক্ষা করা উচিৎ কারণ ওমিপ্রাজল ম্যালিগনেন্সির লক্ষণসমূহ উপশম করতে পারে ফলে ম্যালিগনেন্সি নির্ণয়ে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। ওমিপ্রাজল দ্বারা লক্ষণসমূহ দূরীভুত হলেও ম্যালিগনেন্সির অনুপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবেনা।
⍟⍟ পার্শ্ব - প্রতিক্রিয়া :
ওমিপ্রাজল ভালভাবে সহনীয়। মৃদু এবং অস্থায়ী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, তলপেটে ব্যথা, অস্বস্থিবোধ, মাথা ঝিম্ ঝিম্ করা এবং মাথা ব্যথা। এসব ক্ষেত্রে সেবন মাত্রা কমানোর প্রয়োজন নেই।
⍟⍟ অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
ওমিপ্রাজল ব্যবহারের সময় ডায়াজিপাম, ফেনাইটয়েন এবং ওয়ারফারিন এর নিঃসরণ বিলম্বিত হয়। যখন ওমিপ্রাজল সেবনের প্রয়োজন হয় তখন ওয়ারফারিন এবং ফেনাইটয়েন এর মাত্রা কমাতে হতে পারে। থিউফাইলিন, প্রোপ্রানোলল অথবা এন্টাসিড এর সাথে ওমিপ্রাজল এর ইন্টারঅ্যাকশনের কোন প্রমাণ নাই।
⍟⍟ গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
তিনটি প্রসপেকটিভ এপিডেমিওলোজিক্যাল স্ট্যাডি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে যে, ওমিপ্রাজল ব্যবহারে কোন ধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অথবা ভ্রুণ / সদ্যজাত শিশু স্বাস্থ্যের উপর কোন প্রতিক্রিয়া নেই। সুতরাং ওমিপ্রাজল গর্ভাবস্থায় ব্যবহার নিরাপদ। ওমিপ্রাজল মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় কিন্তু পরিমিত মাত্রায় প্রয়োগে শিশুর উপর কোন প্রভাব ফেলে না।
⍟⍟ সরবরাহ :
সেকলো® ২০ ক্যাপসুল: প্রতিটি বাক্সে আছে ১০০ টি ক্যাপসুল।
সেকলো® ৪০ ক্যাপসুল: প্রতিটি বাক্সে আছে ৩০ টি ক্যাপসুল।
সেকলো® ডিআর ২০ ট্যাবলেট: প্রতিটি বাক্সে আছে ৬০ টি ট্যাবলেট।
No comments