ডায়াবেটিস হলে
ডায়াবেটিস হলে
☆☆☆ এ্যানসুলিন™- Ansulin™
⍟⍟ উপাদান :
এ্যানসুলিন™ R ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/ মি.লি.: প্রতি মি.লি. সলিউশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ৪০ আই ইউ (১.৩৮৮ মি.গ্রা. সমতুল্য) সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) হিসেবে।
এ্যানসুলিন™ R ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতি মি.লি. সলিউশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) হিসেবে।
এ্যানসুলিন N ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ৪০ আই ইউ (১.৩৮৮ মি.গ্রা. সমতুল্য) আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
এ্যানসুলিন™ N ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
এ্যানসুলিন™ ৩০/৭০ ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/ মি.লি.: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ৪০ আই ইউ (১.৩৮৮ মি.গ্রা. সমতুল্য) ৩০% সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) এবং ৭০% আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
এ্যানসুলিন™ ৩০/৭০ ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন
হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) ৩০% সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) এবং ৭০% আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
এ্যানসুলিন™ ৫০/৫০ ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/ মি.লি.: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) ৫০% সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) এবং ৫০% আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
⍟⍟ নির্দেশনা : টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস।
ব্যবহার: ১. এ্যানসুলিন™ খাবার গ্রহণের ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পূর্বে সাবকিউটেনিয়াস পথে ব্যবহার করা উচিত। প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রেই ডাক্তারের পরামর্শে ইনসুলিন গ্রহণের সঠিক সময় নির্ধারণ করা উচিত।
২. ব্যবহারের পূর্বে করণীয় সমভাবে মিশ্রনের জন্য ইনসুলিন ভায়ালটি পরিস্কার হাতে আলতোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন এবং এটি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে কিনা লক্ষ্য করুন। নতুন বোতলের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক ক্যাপ সরিয়ে রাবার স্টপার জীবাণুমুক্ত করে নিন।
প্রয়োজনীয় ইনসুলিনের সমপরিমাণ বাতাস সিরিঞ্জে টেনে নিন এবং ভায়ালে টেনে নেয়া বাতাস প্রয়োগ করুন। সিরিঞ্জসহ ভায়ালটি উপর করে ধরুন এবং সিরিঞ্জে সঠিকমাত্রার ইনসুলিন টেনে নিন। সিরিঞ্জে বাতাস আছে কিনা তা লক্ষ্য করুন এবং থাকলে তা বের করে নিন।
৩. ইঞ্জেকশন প্রয়োগের স্থান ইঞ্জেকশন প্রয়োগের জন্য বাহুর উপরিভাগ, উরু, নিতম্ব বা উদর বেছে নেয়া উচিত। কোষ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য পূর্ববর্তী স্থান হতে ১ সে.মি. দূরে ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা উচিত।
৪. ইঞ্জেকশন প্রয়োগবিধি ইঞ্জেকশন প্রয়োগের স্থান পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন। একহাত দিয়ে প্রয়োগের স্থান টেনে ধরুন এবং সূচটি কোনকুনিভাবে প্রবেশ করিয়ে দিন। ইনসুলিন প্রয়োগ করুন এবং সূঁচটি বের করে প্রয়োগের স্থান না ঘষে আলতোভাবে চাপ দিয়ে ধরুন।
⍟⍟ প্রয়োগমাত্রা :
প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রেই ইনসুলিনের ধরন, মাত্রা এবং প্রয়োগের সময় ভিন্ন হতে পারে। এছাড়াও খাদ্যতালিকা, কাজের ধরন এবং ব্যায়ামের তীব্রতার উপর ইনসুলিনের মাত্রা ভিন্ন হতে পারে। এ কারণে ডাক্তারের নির্দেশে ইনসুলিন ব্যবহার করা উচিত।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইনসুলিনের দৈনিক গড়মাত্রা ০.৫ থেকে ১ আই ইউ/কেজি। বয়ঃসন্ধি পূর্ববর্তী শিশুদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ০.৭ হতে ১ আই ইউ/কেজি হতে পারে। বয়ঃসন্ধিকাল বা অতিরিক্ত ওজনজনিত ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এর ক্ষেত্রে দৈনিক ইনসুলিনের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পায়। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা হিসেবে দৈনিক ০.৩ থেকে ০.৬ আই ইউ/কেজি দেয়া উচিত।
⍟⍟পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
ইনসুলিন দ্বারা চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেকোন সময় হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে এবং এটি একটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
কিছু ক্ষেত্রে এলার্জি দেখা দিতে পারে যেমন- চুলকানি, লাল ও ফুলে যাওয়া। এগুলো সাধারণত কিছুদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। ইনসুলিন ছাড়া অন্যান্য কারণ যেমন- দূর্বল ইঞ্জেকশন প্রয়োগ পদ্ধতি এবং জীবাণুনাশক দ্রবণ এর ফলেও এলার্জি দেখা দিতে পারে।
⍟⍟ প্রতিনির্দেশনা : হাইপোগ্লাইসেমিয়া অথবা ইনসুলিন বা এর কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা।
⍟⍟ সতর্কতা :
টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ইনসুলিনের ব্যবহার বন্ধ বা অপর্যাপ্ত মাত্রার কারণে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত মাত্রায় ইনসুলিন গ্রহণের ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে। খাবার পরিহার বা অপরিকল্পিত ব্যায়ামের ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।
⍟⍟ গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে :
ইনসুলিন পাসেন্টাল ব্যারিয়ার অতিক্রম করে না বলে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস চিকিৎসায় এর ব্যবহারে কোন বাধা নেই। স্তন্যদানকালীন মায়েদের চিকিৎসায় ইনসুলিন শিশুদের কোন ক্ষতি করে না।
⍟⍟ অন্য ওষুধের সাথে বিক্রিয়া :
জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ, এড্রিনাল কর্টিক্যাল হরমোন, থাইরয়েড হরমোন ইত্যাদি ওষুধগুলো রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে হবে। অন্যদিকে, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ, স্যালিসাইলেট, সালফানিলামাইড এবং এন্টিডিপ্রেস্যান্ট ওষুধগুলো রক্তে গ্লুকোজ পরিমাণ কমায়। এক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রা কমানো উচিত।
⍟⍟ সরবরাহ :
এ্যানসুলিন™ R ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সলিউশন।
এ্যানসুলিন™ R ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সলিউশন।
এ্যানসুলিন™ N ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সাসপেনশন।
এ্যানসুলিন™ N ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সাসপেনশন।
এ্যানসুলিন™ ৩০/৭০ ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/ মি.লি.: প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সাসপেনশন। এ্যানসুলিন™ ৩০/৭০ ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সাসপেনশন। এ্যানসুলিন™ ৫০/৫০ ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সাসপেনশন।
☆☆☆ এ্যানসুলিন ™পেন কার্ট্রিজ - Ansulin™Pen Cartridge
শেয়ার করুন
⍟⍟ উপাদান :
এ্যানসুলিন™ আর পেন কার্ট্রিজ: প্রতি মি.লি. সলিউশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) হিসেবে। এ্যানসুলিন™ এন পেন কার্ট্রিজ.: প্রতি মি.লি.
সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে। এ্যানসুলিন™ ৩০/৭০ পেন কার্ট্রিজ: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) ৩০% সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) এবং ৭০% আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
এ্যানসুলিন™ ৫০/৫০ পেন কার্ট্রিজ: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) ৫০% সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) এবং ৫০% আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
⍟⍟ নির্দেশনা : টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস।
ব্যবহার: ১. এ্যানসুলিন™ পেন কার্ট্রিজ খাবার গ্রহণের ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পূর্বে সাবকিউটেনিয়াস পথে ব্যবহার করা উচিত। প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রেই ডাক্তারের পরামর্শে ইনসুলিন গ্রহণের সঠিক সময় নির্ধারণ করা উচিত।
২. ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্ট্রিজটি সঠিক কিনা তা পরীক্ষা করে নিন।প্রয়োগকারী যন্ত্র এ্যানসুপেন™ এর সাহায্যে কার্ট্রিজ ব্যবহার করতে হবে। এজন্য প্রয়োগকারী যন্ত্রের সাাথে সরবরাহকৃত পূর্নাঙ্গ নিয়মাবলী অনুসরণ করুন।
৩.ব্যবহারের পূর্বে করণীয় এ্যানসুপেন™ এর ব্যবহারের নিয়মাবলী অনুযায়ী এ্যানসুলিন™ কার্ট্রিজটি সঠিকভাবে পেনে প্রবেশ করিয়ে নিড্লটি সংযুক্ত করুন। এ্যানসুলিন™ এন পেন কার্ট্রিজ এন অথবা এ্যানসুলিন™ পেন কার্ট্রিজ ৩০/৭০ অথবা এ্যানসুলিন™ পেন কার্ট্রিজ এর ক্ষেত্রে কার্ট্রিজের সাসপেনশন সমভাবে মিশ্রণের জন্য ৮-১০ বার উপর থেকে নিচে মৃদু গতিতে ঝাঁকিয়ে নিন।
সঠিক মাত্রা নির্ধারণে ডোজেজ বাটনটি ঘুরিয়ে নিন। নিড্লের সুরক্ষা ক্যাপ সরিয়ে এবং কার্ট্রিজের ভিতরের বুদবুদ বের করে দিয়ে পেনটিকে প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত করে নিন। বহুবিধ দূষণ প্রতিরোধে পেন প্রস্তুতকালে নিড্লটি কোন কিছুর সংস্পর্শে আনবেন না।
৪. ইঞ্জেকশন প্রয়োগের স্থান ইঞ্জেকশন প্রয়োগের জন্য বাহুর উপরিভাগ, উরু, নিতম্ব বা উদর বেছে নেয়া উচিত। কোষ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য পূর্ববর্তী স্থান হতে ১ সে.মি. দূরে ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা উচিত।
৫. ইঞ্জেকশন প্রয়োগবিধি ইঞ্জেকশন প্রয়োগের স্থান পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন। একহাত দিয়ে প্রয়োগের স্থান টেনে ধরুন এবং সূচটি কোনকুনিভাবে প্রবেশ করিয়ে দিন। ইনসুলিন প্রয়োগ করুন এবং সূঁচটি বের করে প্রয়োগের স্থান না ঘষে আলতোভাবে চাপ দিয়ে ধরুন।
⍟⍟ প্রয়োগমাত্রা :
প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রেই ইনসুলিনের ধরন, মাত্রা এবং প্রয়োগের সময় ভিন্ন হতে পারে। এছাড়াও খাদ্যতালিকা, কাজের ধরন এবং ব্যায়ামের তীব্রতার উপর ইনসুলিনের মাত্রা ভিন্ন হতে পারে। এ কারণে ডাক্তারের নির্দেশে ইনসুলিন ব্যবহার করা উচিত।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইনসুলিনের দৈনিক গড়মাত্রা ০.৫ থেকে ১ আই ইউ/কেজি। বয়ঃসন্ধি পূর্ববর্তী শিশুদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ০.৭ হতে ১ আই ইউ/কেজি হতে পারে। বয়ঃসন্ধিকাল বা অতিরিক্ত ওজনজনিত ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এর ক্ষেত্রে দৈনিক ইনসুলিনের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পায়। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা হিসেবে দৈনিক ০.৩ থেকে ০.৬ আই ইউ/কেজি দেয়া উচিত।
⍟⍟ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
ইনসুলিন দ্বারা চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেকোন সময় হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে এবং এটি একটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। কিছু ক্ষেত্রে এলার্জি দেখা দিতে পারে যেমন- চুলকানি, লাল ও ফুলে যাওয়া। এগুলো সাধারণত কিছুদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়।
ইনসুলিন ছাড়া অন্যান্য কারণ যেমন- দূর্বল ইঞ্জেকশন প্রয়োগ পদ্ধতি এবং জীবাণুনাশক দ্রবণ এর ফলেও এলার্জি দেখা দিতে পারে। প্রতিনির্দেশনা: হাইপোগ্লাইসেমিয়া অথবা ইনসুলিন বা এর কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা।
⍟⍟ সতর্কতা:
টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ইনসুলিনের ব্যবহার বন্ধ বা অপর্যাপ্ত মাত্রার কারণে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত মাত্রায় ইনসুলিন গ্রহণের ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে। খাবার পরিহার বা অপরিকল্পিত ব্যায়ামের ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।
⍟⍟ গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে :
ইনসুলিন পাসেন্টাল ব্যারিয়ার অতিক্রম করে না বলে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস চিকিৎসায় এর ব্যবহারে কোন বাধা নেই। স্তন্যদানকালীন মায়েদের চিকিৎসায় ইনসুলিন শিশুদের কোন ক্ষতি করে না।
⍟⍟ অন্য ওষুধের সাথে বিক্রিয়া :
জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ, এড্রিনাল কর্টিক্যাল হরমোন, থাইরয়েড হরমোন ইত্যাদি ওষুধগুলো রক্তে গ্লুকোজর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে হবে। অন্যদিকে, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ, স্যালিসাইলেট, সালফানিলামাইড এবং এন্টিডিপ্রেস্যান্ট ওষুধগুলো রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমায়। এক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রা কমানো উচিত।
⍟⍟ সংরক্ষণ :
রেফ্রিজারেটরে ২০সে.- ৮০সে. তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন। হিমায়িত করবেন না। ব্যবহৃত হচ্ছে এমন কার্ট্রিজ রেফ্রিজারেটরের পরিবর্তে ঠাণ্ডা স্থানে, আলো ও তাপ থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। ব্যবহৃত ইনসুলিন স্বাভাবিক তাপমাত্রায় একমাস সংরক্ষণ করা যায়।
⍟⍟ সরবরাহ :
এ্যানসুলিন™ আর পেন কার্ট্রিজ: প্রতিটি কার্ট্রিজে আছে ৩ মি.লি. (৩০০ আই ইউ) সলিউশন।
এ্যানসুলিন™ পেন কার্ট্রিজ: প্রতিটি কার্ট্রিজে আছে ৩ মি.লি. (৩০০ আই ইউ) সাসপেনশন।
এ্যানসুলিন™ ৩০/৭০ পেন কার্ট্রিজ: প্রতিটি কার্ট্রিজে আছে ৩ মি.লি. (৩০০ আই ইউ) সাসপেনশন।
এ্যানসুলিন™ ৫০/৫০ পেন কার্ট্রিজ: প্রতিটি কার্ট্রিজে আছে ৩ মি.লি. (৩০০ আই ইউ) সাসপেনশন।
☆☆☆ কমেট® - Comet®
শেয়ার করুন
⍟⍟ উপাদান : মেটফরমিন। ৫০০, ৭৫০, ৮৫০ মি.গ্রা. ও ১ গ্রাম ট্যাবলেট এবং ৫০০ মি.গ্রা. ও ১ গ্রাম এক্সআর ট্যাবলেট।
⍟⍟ নির্দেশনা : টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস।
⍟⍟ মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
প্রাপ্ত বয়স্ক : প্রাথমিকভাবে একটি করে কমেট® ৮৫০ ট্যাবলেট দিনে
এক বার অথবা কমেট® ৫০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট দিনে দুই বার আহারের সাথে।
মাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সপ্তাহে ৫০০ মি.গ্রা. অথবা প্রতি দুই সপ্তাহে ৮৫০ মি.গ্রা. করে বাড়ানো যেতে পারে। সর্বোচ্চ ২৫৫০ মি.গ্রা. প্রতিদিন, বিভক্ত মাত্রায় সেব্য।
কমেট® এক্স আর ৫০০ মি.গ্রা. এর প্রারম্ভিক মাত্রা : ১ টি ট্যাবলেট রাতের খাবারের সাথে।
মাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সপ্তাহে ৫০০ মি.গ্রা. করে বাড়ানো যেতে পারে সর্বোচ্চ ২০০০ মি.গ্রা. দিনে ১ বার পর্যন্ত।
⍟⍟ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, পেটফাঁপা, দূর্বলতা, বদহজম, পেটে অস্বস্তি, মাথা ব্যথা, ইত্যাদি।
⍟⍟ অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
ফ্রুসেমাইড, নিফেডিপিন, ক্যাটায়নিক ওষধু সমহূ, থায়াজাইড ও অন্যান্য মূত্র বধর্ক , কর্টিকোস্টেরয়েড, ফেনোথায়াজিনস, থাইরয়েড প্রোডাক্টস, ইস্ট্রজেন, মুখে মুখে খাওয়ার জন্মনিরোধক বড়ি, ফেনাইটয়েন, নিকোটিনিক এসিড, সিমপ্যাথোমিমেটিকস, ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার এবং আইসোনিয়াজাইড।
⍟⍟ গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার : সুস্পষ্টভাবে প্রয়োজনীয় না হলে ব্যবহার করা উচিত নয়।
⍟⍟ সরবরাহ :
কমেট® ৫০০ ট্যাবলেট : ১০ x ১০ টি।
কমেট® ৭৫০ ট্যাবলেট : ৬ x ১০ টি।
কমেট® ৮৫০ ট্যাবলেট: ৫ x ১০ টি।
কমেট® ১ গ্রাম ট্যাবলেট : ৫ x ৬ টি।
কমেট এক্সআর® ৫০০ ট্যাবলেট : ৫ x ১০ টি।
কমেট এক্সআর® ১ গ্রাম ট্যাবলেট : ৫ x ৬ টি।
☆☆☆ কমপ্রিড® - Comprid
শেয়ার করুন
⍟⍟ উপাদান : গ্লিকাজাইড ৮০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট এবং ৩০ মি.গ্রা. এক্স আর ট্যাবলেট।
⍟⍟ নির্দেশনা : টাইপ-২ ডায়াবেটিস মেলিটাস।
⍟⍟ মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
দৈনিক ৪০-৮০ মি.গ্রা.। প্রয়োজনে ধীরে ধীরে মাত্রা দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে যতদিন না ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে। এক্স আর ট্যাবলেটের ক্ষেত্রে গিকাজাইড ৩০-১২০ মি.গ্রা. প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে একবার সেব্য। এক্স আর ট্যাবলেট ভেঙ্গে বা চুষে খাওয়া উচিত নয়। সকালে নাসত্মার সাথে খাওয়া উচিত।
⍟⍟ সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
জুভেনাইল অনসেট ডায়াবেটিসে, কিটোসিস্ এবং এসিডোসিস্ দ্বারা জটিল ডায়াবেটিসে, অস্ত্রোপচার, মারাতড়বক ক্ষত এবং সংক্রমণের রোগীদের ক্ষেত্রে, ডায়াবেটিক প্রি-কমা এবং কমার ক্ষেত্রে এবং বৃক্ক ও যকৃতের তীব্র অপর্যাপ্ততায়।
⍟⍟ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
কিছু কিছু বিশেষ অবস্থায় হাইপোগ্লাইে সমিয়া হতে পারে। বমি বমি ভাব,ক্ষুধা মন্দা, ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, র্যাশ, ইরিথেমা, লিউকোপেনিয়া, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, এগ্রানুলোসাই- টোসিস, প্যানসাইটোপেনিয়া, হিমোলাইটিক এনেমিয়া, কোলেস্ট্যাটিক জণ্ডিস এবং পরিপাকনালীর হেমোরেজ ইত্যাদি।
⍟⍟ অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
ফিনাইলবিউটাজোন, সালফোনামাইড, কোমারিন ডেরিভেটিভ, বিটা- ব্লকার, টেট্রাসাইক্লিন, ক্লোরামফেনিকল, কোফাইব্রেট, সিমেটিডিন, মাইকোনাজল, বারবিচুরেট, কর্টিকোষ্টেরয়েড, থায়াজাইড ডাইইউরেটিক, থাইরয়েড হরমোন, ল্যাক্সাটিভ এবং মুখে সেব্য জন্মনিরোধক সমূহ।
⍟⍟ গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার : গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালীন মায়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়।
⍟⍟ সরবরাহ :
কমপ্রিড® ট্যাবলেট : ২ x ২০ টি।
কমপ্রিড® এক্স আর ট্যাবলেট : ৩ x ১০ টি।
☆☆☆ ভিগ্লিটা™ - Viglita™
⍟⍟ উপাদান : ভিগ্লিটা™ ৫০ ট্যাবলেট: প্রতিটি ট্যাবলেটে আছে ভিল্ডাগ্লিপটিন আইএনএন ৫০ মি.গ্রা.।
⍟⍟ নির্দেশনা :
ভিগ্লিটা™ টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীর গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্য ও ব্যায়ামের সাথে এককভাবে নির্দেশিত। অথবা সমন্বিতভাবে মেটফরমিন, সালফোনাইলইউরিয়া, থায়াজোলিডিনডায়োনস এবং ইনসুলিনের সাথ নির্দেশিত যখন একক ভাবে এসকল ওষুধ পর্যাপ্ত গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রন করতে পারে না।
⍟⍟ মাত্রা ও ব্যবহারবিধি :
ভিগ্লিটা™ এর নির্দেশিত মাত্রা হচ্ছে-একক চিকিৎসার ক্ষেত্রে: দৈনিক ৫০ মি.গ্রা. অথবা ১০০ মি.গ্রা. ভিগ্লিটা™ খাবারের সাথে অথবা খাবার ছাড়াও নেয়া যায়। বয়স্ক রোগী অথবা যেসব রোগীর মৃদু রেনাল সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে ভিগ্লিটা™ এর মাত্রা পরিবর্তন করতে হয় না।
⍟⍟ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :
প্রায় সকল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই মৃদু এবং ক্ষনস্থায়ী এবং চিকিৎসা বন্ধ করার প্রয়োজন হয় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লিভার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভিল্ডাগ্লিপটিন দ্বারা ২ বছর বা তার অধিক সময় চিকিৎসায় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন নেই।
⍟⍟ অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
ফার্মাকোকাইনেটিক পরীক্ষায় পায়োগ্লিটাজোন, মেটফরমিন, গিবেনকাল মাইড, ডিগোক্সিন, ওয়ারফারিন, এ্যমলোডিপিন, র্যামিপিল্র, ভ্যালসারটান বা সিমভাসট্যাটিন দ্বারা চিকিৎসায় কোন প্রকার মিথসক্রিয়ায়া দেখা যায় নি।
⍟⍟ গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে :
গর্ভাবস্থায় : এটি ব্যবহার করা উচিত ।
নয়।স্তন্যদানকালে : স্তন্যদানকালে ব্যবহার করা উচিত নয়।
⍟⍟ সরবরাহ : ভিগ্লিটা™ ৫০ ট্যাবলেট প্রতিটি বাক্সে আছে ২০ টি ট্যাবলেট ব্লিস্টার প্যাকে।
☆☆☆ এ্যানসুলিন™- Ansulin™
⍟⍟ উপাদান :
এ্যানসুলিন™ R ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/ মি.লি.: প্রতি মি.লি. সলিউশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ৪০ আই ইউ (১.৩৮৮ মি.গ্রা. সমতুল্য) সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) হিসেবে।
এ্যানসুলিন™ R ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতি মি.লি. সলিউশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) হিসেবে।
এ্যানসুলিন N ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ৪০ আই ইউ (১.৩৮৮ মি.গ্রা. সমতুল্য) আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
এ্যানসুলিন™ N ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
এ্যানসুলিন™ ৩০/৭০ ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/ মি.লি.: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ৪০ আই ইউ (১.৩৮৮ মি.গ্রা. সমতুল্য) ৩০% সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) এবং ৭০% আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
এ্যানসুলিন™ ৩০/৭০ ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন
হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) ৩০% সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) এবং ৭০% আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
এ্যানসুলিন™ ৫০/৫০ ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/ মি.লি.: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) ৫০% সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) এবং ৫০% আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
⍟⍟ নির্দেশনা : টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস।
ব্যবহার: ১. এ্যানসুলিন™ খাবার গ্রহণের ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পূর্বে সাবকিউটেনিয়াস পথে ব্যবহার করা উচিত। প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রেই ডাক্তারের পরামর্শে ইনসুলিন গ্রহণের সঠিক সময় নির্ধারণ করা উচিত।
২. ব্যবহারের পূর্বে করণীয় সমভাবে মিশ্রনের জন্য ইনসুলিন ভায়ালটি পরিস্কার হাতে আলতোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন এবং এটি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে কিনা লক্ষ্য করুন। নতুন বোতলের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক ক্যাপ সরিয়ে রাবার স্টপার জীবাণুমুক্ত করে নিন।
প্রয়োজনীয় ইনসুলিনের সমপরিমাণ বাতাস সিরিঞ্জে টেনে নিন এবং ভায়ালে টেনে নেয়া বাতাস প্রয়োগ করুন। সিরিঞ্জসহ ভায়ালটি উপর করে ধরুন এবং সিরিঞ্জে সঠিকমাত্রার ইনসুলিন টেনে নিন। সিরিঞ্জে বাতাস আছে কিনা তা লক্ষ্য করুন এবং থাকলে তা বের করে নিন।
৩. ইঞ্জেকশন প্রয়োগের স্থান ইঞ্জেকশন প্রয়োগের জন্য বাহুর উপরিভাগ, উরু, নিতম্ব বা উদর বেছে নেয়া উচিত। কোষ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য পূর্ববর্তী স্থান হতে ১ সে.মি. দূরে ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা উচিত।
৪. ইঞ্জেকশন প্রয়োগবিধি ইঞ্জেকশন প্রয়োগের স্থান পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন। একহাত দিয়ে প্রয়োগের স্থান টেনে ধরুন এবং সূচটি কোনকুনিভাবে প্রবেশ করিয়ে দিন। ইনসুলিন প্রয়োগ করুন এবং সূঁচটি বের করে প্রয়োগের স্থান না ঘষে আলতোভাবে চাপ দিয়ে ধরুন।
⍟⍟ প্রয়োগমাত্রা :
প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রেই ইনসুলিনের ধরন, মাত্রা এবং প্রয়োগের সময় ভিন্ন হতে পারে। এছাড়াও খাদ্যতালিকা, কাজের ধরন এবং ব্যায়ামের তীব্রতার উপর ইনসুলিনের মাত্রা ভিন্ন হতে পারে। এ কারণে ডাক্তারের নির্দেশে ইনসুলিন ব্যবহার করা উচিত।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইনসুলিনের দৈনিক গড়মাত্রা ০.৫ থেকে ১ আই ইউ/কেজি। বয়ঃসন্ধি পূর্ববর্তী শিশুদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ০.৭ হতে ১ আই ইউ/কেজি হতে পারে। বয়ঃসন্ধিকাল বা অতিরিক্ত ওজনজনিত ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এর ক্ষেত্রে দৈনিক ইনসুলিনের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পায়। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা হিসেবে দৈনিক ০.৩ থেকে ০.৬ আই ইউ/কেজি দেয়া উচিত।
⍟⍟পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
ইনসুলিন দ্বারা চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেকোন সময় হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে এবং এটি একটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
কিছু ক্ষেত্রে এলার্জি দেখা দিতে পারে যেমন- চুলকানি, লাল ও ফুলে যাওয়া। এগুলো সাধারণত কিছুদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। ইনসুলিন ছাড়া অন্যান্য কারণ যেমন- দূর্বল ইঞ্জেকশন প্রয়োগ পদ্ধতি এবং জীবাণুনাশক দ্রবণ এর ফলেও এলার্জি দেখা দিতে পারে।
⍟⍟ প্রতিনির্দেশনা : হাইপোগ্লাইসেমিয়া অথবা ইনসুলিন বা এর কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা।
⍟⍟ সতর্কতা :
টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ইনসুলিনের ব্যবহার বন্ধ বা অপর্যাপ্ত মাত্রার কারণে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত মাত্রায় ইনসুলিন গ্রহণের ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে। খাবার পরিহার বা অপরিকল্পিত ব্যায়ামের ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।
⍟⍟ গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে :
ইনসুলিন পাসেন্টাল ব্যারিয়ার অতিক্রম করে না বলে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস চিকিৎসায় এর ব্যবহারে কোন বাধা নেই। স্তন্যদানকালীন মায়েদের চিকিৎসায় ইনসুলিন শিশুদের কোন ক্ষতি করে না।
⍟⍟ অন্য ওষুধের সাথে বিক্রিয়া :
জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ, এড্রিনাল কর্টিক্যাল হরমোন, থাইরয়েড হরমোন ইত্যাদি ওষুধগুলো রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে হবে। অন্যদিকে, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ, স্যালিসাইলেট, সালফানিলামাইড এবং এন্টিডিপ্রেস্যান্ট ওষুধগুলো রক্তে গ্লুকোজ পরিমাণ কমায়। এক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রা কমানো উচিত।
⍟⍟ সরবরাহ :
এ্যানসুলিন™ R ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সলিউশন।
এ্যানসুলিন™ R ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সলিউশন।
এ্যানসুলিন™ N ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সাসপেনশন।
এ্যানসুলিন™ N ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সাসপেনশন।
এ্যানসুলিন™ ৩০/৭০ ইঞ্জেকশন ৪০ আই ইউ/ মি.লি.: প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সাসপেনশন। এ্যানসুলিন™ ৩০/৭০ ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সাসপেনশন। এ্যানসুলিন™ ৫০/৫০ ইঞ্জেকশন ১০০ আই ইউ/মি.লি.: প্রতিটি গাস ভায়ালে রয়েছে ১০ মি.লি. সাসপেনশন।
☆☆☆ এ্যানসুলিন ™পেন কার্ট্রিজ - Ansulin™Pen Cartridge
শেয়ার করুন
⍟⍟ উপাদান :
এ্যানসুলিন™ আর পেন কার্ট্রিজ: প্রতি মি.লি. সলিউশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) হিসেবে। এ্যানসুলিন™ এন পেন কার্ট্রিজ.: প্রতি মি.লি.
সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে। এ্যানসুলিন™ ৩০/৭০ পেন কার্ট্রিজ: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) ৩০% সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) এবং ৭০% আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
এ্যানসুলিন™ ৫০/৫০ পেন কার্ট্রিজ: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) ৫০% সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) এবং ৫০% আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
⍟⍟ নির্দেশনা : টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস।
ব্যবহার: ১. এ্যানসুলিন™ পেন কার্ট্রিজ খাবার গ্রহণের ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পূর্বে সাবকিউটেনিয়াস পথে ব্যবহার করা উচিত। প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রেই ডাক্তারের পরামর্শে ইনসুলিন গ্রহণের সঠিক সময় নির্ধারণ করা উচিত।
২. ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্ট্রিজটি সঠিক কিনা তা পরীক্ষা করে নিন।প্রয়োগকারী যন্ত্র এ্যানসুপেন™ এর সাহায্যে কার্ট্রিজ ব্যবহার করতে হবে। এজন্য প্রয়োগকারী যন্ত্রের সাাথে সরবরাহকৃত পূর্নাঙ্গ নিয়মাবলী অনুসরণ করুন।
৩.ব্যবহারের পূর্বে করণীয় এ্যানসুপেন™ এর ব্যবহারের নিয়মাবলী অনুযায়ী এ্যানসুলিন™ কার্ট্রিজটি সঠিকভাবে পেনে প্রবেশ করিয়ে নিড্লটি সংযুক্ত করুন। এ্যানসুলিন™ এন পেন কার্ট্রিজ এন অথবা এ্যানসুলিন™ পেন কার্ট্রিজ ৩০/৭০ অথবা এ্যানসুলিন™ পেন কার্ট্রিজ এর ক্ষেত্রে কার্ট্রিজের সাসপেনশন সমভাবে মিশ্রণের জন্য ৮-১০ বার উপর থেকে নিচে মৃদু গতিতে ঝাঁকিয়ে নিন।
সঠিক মাত্রা নির্ধারণে ডোজেজ বাটনটি ঘুরিয়ে নিন। নিড্লের সুরক্ষা ক্যাপ সরিয়ে এবং কার্ট্রিজের ভিতরের বুদবুদ বের করে দিয়ে পেনটিকে প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত করে নিন। বহুবিধ দূষণ প্রতিরোধে পেন প্রস্তুতকালে নিড্লটি কোন কিছুর সংস্পর্শে আনবেন না।
৪. ইঞ্জেকশন প্রয়োগের স্থান ইঞ্জেকশন প্রয়োগের জন্য বাহুর উপরিভাগ, উরু, নিতম্ব বা উদর বেছে নেয়া উচিত। কোষ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য পূর্ববর্তী স্থান হতে ১ সে.মি. দূরে ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা উচিত।
৫. ইঞ্জেকশন প্রয়োগবিধি ইঞ্জেকশন প্রয়োগের স্থান পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন। একহাত দিয়ে প্রয়োগের স্থান টেনে ধরুন এবং সূচটি কোনকুনিভাবে প্রবেশ করিয়ে দিন। ইনসুলিন প্রয়োগ করুন এবং সূঁচটি বের করে প্রয়োগের স্থান না ঘষে আলতোভাবে চাপ দিয়ে ধরুন।
⍟⍟ প্রয়োগমাত্রা :
প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রেই ইনসুলিনের ধরন, মাত্রা এবং প্রয়োগের সময় ভিন্ন হতে পারে। এছাড়াও খাদ্যতালিকা, কাজের ধরন এবং ব্যায়ামের তীব্রতার উপর ইনসুলিনের মাত্রা ভিন্ন হতে পারে। এ কারণে ডাক্তারের নির্দেশে ইনসুলিন ব্যবহার করা উচিত।
টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইনসুলিনের দৈনিক গড়মাত্রা ০.৫ থেকে ১ আই ইউ/কেজি। বয়ঃসন্ধি পূর্ববর্তী শিশুদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ০.৭ হতে ১ আই ইউ/কেজি হতে পারে। বয়ঃসন্ধিকাল বা অতিরিক্ত ওজনজনিত ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এর ক্ষেত্রে দৈনিক ইনসুলিনের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পায়। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা হিসেবে দৈনিক ০.৩ থেকে ০.৬ আই ইউ/কেজি দেয়া উচিত।
⍟⍟ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
ইনসুলিন দ্বারা চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেকোন সময় হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে এবং এটি একটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। কিছু ক্ষেত্রে এলার্জি দেখা দিতে পারে যেমন- চুলকানি, লাল ও ফুলে যাওয়া। এগুলো সাধারণত কিছুদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়।
ইনসুলিন ছাড়া অন্যান্য কারণ যেমন- দূর্বল ইঞ্জেকশন প্রয়োগ পদ্ধতি এবং জীবাণুনাশক দ্রবণ এর ফলেও এলার্জি দেখা দিতে পারে। প্রতিনির্দেশনা: হাইপোগ্লাইসেমিয়া অথবা ইনসুলিন বা এর কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা।
⍟⍟ সতর্কতা:
টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ইনসুলিনের ব্যবহার বন্ধ বা অপর্যাপ্ত মাত্রার কারণে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত মাত্রায় ইনসুলিন গ্রহণের ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে। খাবার পরিহার বা অপরিকল্পিত ব্যায়ামের ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।
⍟⍟ গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে :
ইনসুলিন পাসেন্টাল ব্যারিয়ার অতিক্রম করে না বলে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস চিকিৎসায় এর ব্যবহারে কোন বাধা নেই। স্তন্যদানকালীন মায়েদের চিকিৎসায় ইনসুলিন শিশুদের কোন ক্ষতি করে না।
⍟⍟ অন্য ওষুধের সাথে বিক্রিয়া :
জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ, এড্রিনাল কর্টিক্যাল হরমোন, থাইরয়েড হরমোন ইত্যাদি ওষুধগুলো রক্তে গ্লুকোজর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে হবে। অন্যদিকে, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ, স্যালিসাইলেট, সালফানিলামাইড এবং এন্টিডিপ্রেস্যান্ট ওষুধগুলো রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমায়। এক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রা কমানো উচিত।
⍟⍟ সংরক্ষণ :
রেফ্রিজারেটরে ২০সে.- ৮০সে. তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন। হিমায়িত করবেন না। ব্যবহৃত হচ্ছে এমন কার্ট্রিজ রেফ্রিজারেটরের পরিবর্তে ঠাণ্ডা স্থানে, আলো ও তাপ থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। ব্যবহৃত ইনসুলিন স্বাভাবিক তাপমাত্রায় একমাস সংরক্ষণ করা যায়।
⍟⍟ সরবরাহ :
এ্যানসুলিন™ আর পেন কার্ট্রিজ: প্রতিটি কার্ট্রিজে আছে ৩ মি.লি. (৩০০ আই ইউ) সলিউশন।
এ্যানসুলিন™ পেন কার্ট্রিজ: প্রতিটি কার্ট্রিজে আছে ৩ মি.লি. (৩০০ আই ইউ) সাসপেনশন।
এ্যানসুলিন™ ৩০/৭০ পেন কার্ট্রিজ: প্রতিটি কার্ট্রিজে আছে ৩ মি.লি. (৩০০ আই ইউ) সাসপেনশন।
এ্যানসুলিন™ ৫০/৫০ পেন কার্ট্রিজ: প্রতিটি কার্ট্রিজে আছে ৩ মি.লি. (৩০০ আই ইউ) সাসপেনশন।
☆☆☆ কমেট® - Comet®
শেয়ার করুন
⍟⍟ উপাদান : মেটফরমিন। ৫০০, ৭৫০, ৮৫০ মি.গ্রা. ও ১ গ্রাম ট্যাবলেট এবং ৫০০ মি.গ্রা. ও ১ গ্রাম এক্সআর ট্যাবলেট।
⍟⍟ নির্দেশনা : টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস।
⍟⍟ মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
প্রাপ্ত বয়স্ক : প্রাথমিকভাবে একটি করে কমেট® ৮৫০ ট্যাবলেট দিনে
এক বার অথবা কমেট® ৫০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট দিনে দুই বার আহারের সাথে।
মাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সপ্তাহে ৫০০ মি.গ্রা. অথবা প্রতি দুই সপ্তাহে ৮৫০ মি.গ্রা. করে বাড়ানো যেতে পারে। সর্বোচ্চ ২৫৫০ মি.গ্রা. প্রতিদিন, বিভক্ত মাত্রায় সেব্য।
কমেট® এক্স আর ৫০০ মি.গ্রা. এর প্রারম্ভিক মাত্রা : ১ টি ট্যাবলেট রাতের খাবারের সাথে।
মাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সপ্তাহে ৫০০ মি.গ্রা. করে বাড়ানো যেতে পারে সর্বোচ্চ ২০০০ মি.গ্রা. দিনে ১ বার পর্যন্ত।
⍟⍟ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া : ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, পেটফাঁপা, দূর্বলতা, বদহজম, পেটে অস্বস্তি, মাথা ব্যথা, ইত্যাদি।
⍟⍟ অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
ফ্রুসেমাইড, নিফেডিপিন, ক্যাটায়নিক ওষধু সমহূ, থায়াজাইড ও অন্যান্য মূত্র বধর্ক , কর্টিকোস্টেরয়েড, ফেনোথায়াজিনস, থাইরয়েড প্রোডাক্টস, ইস্ট্রজেন, মুখে মুখে খাওয়ার জন্মনিরোধক বড়ি, ফেনাইটয়েন, নিকোটিনিক এসিড, সিমপ্যাথোমিমেটিকস, ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার এবং আইসোনিয়াজাইড।
⍟⍟ গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার : সুস্পষ্টভাবে প্রয়োজনীয় না হলে ব্যবহার করা উচিত নয়।
⍟⍟ সরবরাহ :
কমেট® ৫০০ ট্যাবলেট : ১০ x ১০ টি।
কমেট® ৭৫০ ট্যাবলেট : ৬ x ১০ টি।
কমেট® ৮৫০ ট্যাবলেট: ৫ x ১০ টি।
কমেট® ১ গ্রাম ট্যাবলেট : ৫ x ৬ টি।
কমেট এক্সআর® ৫০০ ট্যাবলেট : ৫ x ১০ টি।
কমেট এক্সআর® ১ গ্রাম ট্যাবলেট : ৫ x ৬ টি।
☆☆☆ কমপ্রিড® - Comprid
শেয়ার করুন
⍟⍟ উপাদান : গ্লিকাজাইড ৮০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট এবং ৩০ মি.গ্রা. এক্স আর ট্যাবলেট।
⍟⍟ নির্দেশনা : টাইপ-২ ডায়াবেটিস মেলিটাস।
⍟⍟ মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
দৈনিক ৪০-৮০ মি.গ্রা.। প্রয়োজনে ধীরে ধীরে মাত্রা দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে যতদিন না ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে। এক্স আর ট্যাবলেটের ক্ষেত্রে গিকাজাইড ৩০-১২০ মি.গ্রা. প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে একবার সেব্য। এক্স আর ট্যাবলেট ভেঙ্গে বা চুষে খাওয়া উচিত নয়। সকালে নাসত্মার সাথে খাওয়া উচিত।
⍟⍟ সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
জুভেনাইল অনসেট ডায়াবেটিসে, কিটোসিস্ এবং এসিডোসিস্ দ্বারা জটিল ডায়াবেটিসে, অস্ত্রোপচার, মারাতড়বক ক্ষত এবং সংক্রমণের রোগীদের ক্ষেত্রে, ডায়াবেটিক প্রি-কমা এবং কমার ক্ষেত্রে এবং বৃক্ক ও যকৃতের তীব্র অপর্যাপ্ততায়।
⍟⍟ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
কিছু কিছু বিশেষ অবস্থায় হাইপোগ্লাইে সমিয়া হতে পারে। বমি বমি ভাব,ক্ষুধা মন্দা, ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, র্যাশ, ইরিথেমা, লিউকোপেনিয়া, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, এগ্রানুলোসাই- টোসিস, প্যানসাইটোপেনিয়া, হিমোলাইটিক এনেমিয়া, কোলেস্ট্যাটিক জণ্ডিস এবং পরিপাকনালীর হেমোরেজ ইত্যাদি।
⍟⍟ অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
ফিনাইলবিউটাজোন, সালফোনামাইড, কোমারিন ডেরিভেটিভ, বিটা- ব্লকার, টেট্রাসাইক্লিন, ক্লোরামফেনিকল, কোফাইব্রেট, সিমেটিডিন, মাইকোনাজল, বারবিচুরেট, কর্টিকোষ্টেরয়েড, থায়াজাইড ডাইইউরেটিক, থাইরয়েড হরমোন, ল্যাক্সাটিভ এবং মুখে সেব্য জন্মনিরোধক সমূহ।
⍟⍟ গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার : গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালীন মায়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়।
⍟⍟ সরবরাহ :
কমপ্রিড® ট্যাবলেট : ২ x ২০ টি।
কমপ্রিড® এক্স আর ট্যাবলেট : ৩ x ১০ টি।
☆☆☆ ভিগ্লিটা™ - Viglita™
⍟⍟ উপাদান : ভিগ্লিটা™ ৫০ ট্যাবলেট: প্রতিটি ট্যাবলেটে আছে ভিল্ডাগ্লিপটিন আইএনএন ৫০ মি.গ্রা.।
⍟⍟ নির্দেশনা :
ভিগ্লিটা™ টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীর গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের জন্য খাদ্য ও ব্যায়ামের সাথে এককভাবে নির্দেশিত। অথবা সমন্বিতভাবে মেটফরমিন, সালফোনাইলইউরিয়া, থায়াজোলিডিনডায়োনস এবং ইনসুলিনের সাথ নির্দেশিত যখন একক ভাবে এসকল ওষুধ পর্যাপ্ত গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রন করতে পারে না।
⍟⍟ মাত্রা ও ব্যবহারবিধি :
ভিগ্লিটা™ এর নির্দেশিত মাত্রা হচ্ছে-একক চিকিৎসার ক্ষেত্রে: দৈনিক ৫০ মি.গ্রা. অথবা ১০০ মি.গ্রা. ভিগ্লিটা™ খাবারের সাথে অথবা খাবার ছাড়াও নেয়া যায়। বয়স্ক রোগী অথবা যেসব রোগীর মৃদু রেনাল সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে ভিগ্লিটা™ এর মাত্রা পরিবর্তন করতে হয় না।
⍟⍟ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :
প্রায় সকল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই মৃদু এবং ক্ষনস্থায়ী এবং চিকিৎসা বন্ধ করার প্রয়োজন হয় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে লিভার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভিল্ডাগ্লিপটিন দ্বারা ২ বছর বা তার অধিক সময় চিকিৎসায় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন নেই।
⍟⍟ অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
ফার্মাকোকাইনেটিক পরীক্ষায় পায়োগ্লিটাজোন, মেটফরমিন, গিবেনকাল মাইড, ডিগোক্সিন, ওয়ারফারিন, এ্যমলোডিপিন, র্যামিপিল্র, ভ্যালসারটান বা সিমভাসট্যাটিন দ্বারা চিকিৎসায় কোন প্রকার মিথসক্রিয়ায়া দেখা যায় নি।
⍟⍟ গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে :
গর্ভাবস্থায় : এটি ব্যবহার করা উচিত ।
নয়।স্তন্যদানকালে : স্তন্যদানকালে ব্যবহার করা উচিত নয়।
⍟⍟ সরবরাহ : ভিগ্লিটা™ ৫০ ট্যাবলেট প্রতিটি বাক্সে আছে ২০ টি ট্যাবলেট ব্লিস্টার প্যাকে।
No comments